কার্গিল যুদ্ধের ২৫ বছর পর গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে প্রাণঘাতি সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে আবারও রক্তপাতের পথে ভারত-পাকিস্তান। তীব্র হচ্ছে যুদ্ধের শঙ্কা।
রেডিও পাকিস্তানের তথ্য বলছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম না করেই, ভারতের যুদ্ধ বিমান মঙ্গলবার রাত থেকে কাশ্মীরের আকাশসীমায় ওত পেতে ছিল। বুধবার সকালে থেকে অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশসীমায় টহল শুরু করে ভারতীয় বিমান বাহিনী।
পরে পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের তাড়া খেয়ে পালাতে বাধ্য হয় ভারতের জেট বিমানগুলো। তবে এ অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি ভারত-পাকিস্তান কোনো পক্ষই। এমন উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তে পাকিস্তানের সেনারা ভারতীয় সেনাদের চেকপোস্ট ধ্বংস করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে জিও টিভি।
যুদ্ধের শঙ্কা বাড়তেই ভারতকে আরো একবার কড়া বার্তা দিলো পাকিস্তান। নয়াদিল্লির সঙ্গে ইসলামাবাদ নিজে কোনো উত্তেজনা বরাতে চায় না বলে সাফ জানিয়েছেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তবে ভারত উত্তেজনা বাড়ালে উচিত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, ‘নিজেদের সতর্কতা হিসেবে গিলগিটসহ উত্তরাঞ্চলে যাতায়াতের সব ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ। এছাড়া, চীনের জিনজিয়াং ও লাদাখ সীমান্তে স্কারদুগামী লাহোর ও ইসলামাবাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স।’
অধিকৃত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কা জানিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার নির্দেশ ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে পুলিশি পাহারা। বন্ধ আছে অধিকাংশ পর্যটন অঞ্চল।
পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কোনো আলামত সামনে আনতে না পারলেও একের পর এক হাই ভোল্টেজ বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু বুধবারই জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কেবিনেট কমিটিসহ প্রতিরক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে মিলিয়ে মোট ৪টি বৈঠক করেছেন ভারতের সরকার প্রধান।
এদিকে, কাশ্মীরে পর্যটক হত্যার জেরে ৬ দিনে প্রায় ৮০০ পাকিস্তানিকে জোর করে ভারত ছাড়তে বাধ্য করেছে মোদি প্রশাসন। এর জবাবে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ বেশি ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ।