টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শূন্য হাতেই ফিরলো না কি কিছু নিয়ে? গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ সেরা আটে পায়নি কোনো জয়। তাই, শেষটা হয়েছে হতাশায়-ই মোড়ানো। আর সেই অপূর্ণতার দীর্ঘশ্বাস নিয়েই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল।
মার্কিন মুল্লুকে বিশ্বকাপের পারফর্ম্যান্স নিয়ে দেশবাসীর সাথে হতাশ পুরো দলও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারে নি তারা। সেখানে দলের পরিকল্পনা কী ছিল সে নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন সহ অধিনায়ক।
তিনি বলেন, 'শেষ ম্যাচে আমরা সবাই একটু ডিসাপয়েন্টেট হয়েছি। আমরা প্রথমে ১২ ওভারের মধ্যে জেতার চেষ্টা করেছি। পরে যখন আমরা বুঝতে পারলাম যে ১২ ওভারে সম্ভব না, তখন নরমালি জেতার চেষ্টা করেছি। তবুও আমরা জিততে পারিনি। এই প্রথম বিশ্বকাপে আমরা ৩টা জয় পেয়েছি। এখানে পজেটিভ থাকলেও নেগেটিভের সংখ্যাটা বেশি।'
বিশ্বকাপে ব্যাটারদের হতশ্রী পারফর্ম্যান্সে বোলারদেরই ছিল বলার মতো নৈপুণ্য। বিশেষ করে রিশাদ হোসাইনের সেরা পাঁচে থাকা আর তানজীম সাকিবের বোলিং নিয়েও প্রশংসা করেন তাসকিন। বলেন. 'ব্যাটিংয়ে কখনও এতো লম্বা সময় ধরে খারাপ সময় দেখিনি আমরা। এবারই প্রথম এমন দেখা। আশা করি দ্রুত এ সমস্যা কাটিয়ে উঠবো।'
দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব মাহমুদউল্লাহ দেখাতে পারেনি ব্যাটে বলে মুন্সিয়ানা। তাদের এমন নিষ্প্রভতা দলে বেশ প্রভাব পড়েছে বলে জানান টাইগার পেসার।
তাসকিন বলেন, 'দুইজন খেলোয়াড়ের ফর্মে না থাকায় দলে ইফেক্ট পড়েছে। কিন্তু মাঠের বাইরে ইফেক্ট পড়েনি। আসলে দলের মেইন খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে দলের সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক।'
শুক্রবার দল ফিরলেও ফেরেনি লিটন-সৌম্য। এছাড়া সাকিব আল হাসানও ছিলেন না টিমের সাথে।