দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভড়কে যায়নি যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচ হারলেও লড়াই করেছেন মার্কিনি ব্যাটাররা। ১৯৫ রান তাড়া করতে নেমে দাপুটে শুরু করেন স্টিভেন টেইলর আর গোউস। দ্রুত গতিতে রান করতে থাকা টেইলর অবশ্য ২৪ রানেই উইকেট দেন রাবাডাকে।
গোউসকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেয়ার পর বিদায় নেন নিতিশ কুমার। আর অধিনায়ক জোন্স এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। অলরাউন্ডার কোরি এন্ডারসন আর শায়ান জাহাঙ্গীরও নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে, গোউস এক প্রাান্ত আগলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। অর্ধশতক করেই ক্ষান্ত যাননি। দলকে জেতাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। তার সাথে হারমিত সিংও লড়াই করেছেন। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। হারমিত ব্যক্তিগত ৩৮ রানে আউট হলেও ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন গোউস।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা । যদিও ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়া শিবির। তবে, ওয়ানডাউনে নামা মার্করাম আর ওপেনার ডি কক রানের গতিটা ঠিক রেখেছেন। গ্রুপ পর্বে নিষ্প্রভ থাকা ডি কক সুপার এইটে জ্বলে উঠেছেন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রতিপক্ষের বোলারদের কড়া শাসনটাই যেন করলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ২৬ বল খেলেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি। অর্ধশতক হাঁকানো ডি কককে সঙ্গ দিচ্ছিলেন অধিনায়ক মার্করাম। দু'জন মিলে গড়েন ১১০ রানের জুটি। মূলত তাদের পার্টনারশিপেই বড় স্কোর গড়ার ভিত পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ডি কককে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হারমিত সিং। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ৪০ বলে ৭৪ রানের ইনিংসটিতে ছিলো পাঁচটি ছক্কা ও সাতটি চারের মার। ঠিক তার পরের বলেই হারমিতের দ্বিতীয় শিকার হন ডেভিড মিলার।
ক্রিজে সেট হওয়া অধিনায়ক মার্করাম মাত্র চার রানের জন্য মিস করেছেন ফিফটি। তাকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন পেসার নেত্রাভালকার। তারপর ক্লাসেন আর স্টাবস মিলে রানের চাকাটা সচল রেখেছেন। এই দুই ব্যাটার বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলায় দুইশোর কাছাকাছি স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২২ বলে ৩৬ করেছেন ক্লাসেন। আর ২০ রানের ইনিংস খেলতে স্টাবসের খরচ হয়েছে ১৬ বল। দু'জনেই অপরাজিত ছিলেন ।