বিশ্বকাপে ডি গ্রুপে অন্যতম দুই ফেভারিট দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেট অনুরাগীদের প্রত্যাশা ছিল হাইভোল্টেজ ম্যাচের। চার ছক্কায় মাতবে মাঠে উপস্থিত ক্রিকেট ভক্তরা। তবে সেটা আর হলো কোথায়! বিশ্বকাপে এসেই যেনো ছন্দ হারালো লঙ্কানরা। আসর শুরুর আগেও সবশেষ ৫ ম্যাচের ৪টিতেই জয় ওদের। এরমধ্যে এই ফরম্যাটেই বাংলাদেশকে তাদের ঘরের মাঠে সিরিজ হারিয়েছে। আর এই দলটি কি না প্রোটিয়া বোলারদের সমানে ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে।
যদিও স্বল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হিমশিম খেতে হয়েছে মার্করামের দলের। মাত্র ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। হ্যান্ড্রিকসকে ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট করে লঙ্কানদের ম্যাচে ফেরানোর ইঙ্গিত দেয় নুয়ান থুশারা। এরপর অধিনায়ক মার্করামকে নিয়ে ১৩ রানের জুটি গড়েন ডি কক। তবে মার্করামকে ১২ রানে আউট করে সেই জুটি ভাঙ্গেন দাসুন শানাক।
সেখান থেকে আবারও ম্যাচের হাল ধরেন ডি কক। ২০ রানে হাসারাঙ্গা ফেরান ডি কককে। তবে শেষ দিকে ক্লাসেন আর মিলার মিলে দলকে ৬ উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্রোটিয়া পেসারদের তোপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দলীয় মাত্র ১৩ রানেই তারা হারায় পাথুম নিশাঙ্কাকে। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বার্টম্যান তার প্রথম বলেই তুলে নেন উইকেট। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা লঙ্কানরা পাওয়ার প্লেতে সংগ্রহ করে মাত্র ২৪ রান।
এরপর একে একে তারা হারায় কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, হাসারাঙ্গা ও সামারাবিক্রমাকে। মাত্র ৪০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে দলটি। দলীয় ৪৫ রানে আউট হয়ে যান চারিথ আসালাঙ্কাও।
শেষদিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ১৬ রান ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌছাতে পারেননি।
প্রোটিয়াদের হয়ে নরকিয়া মাত্র ৭ রান দিয়ে একাই তুলে নেন ৪ উইকেট। ফলে ম্যাচসেরাও হন তিনি।