টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যর্থতা যেনো বাংলাদেশের নিত্যদিনের সঙ্গী। ম্যাচের আগে নিজেদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস কিংবা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেয়া। সবকিছুই যেনো টাইগারদের সাফল্য এনে দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের কাছে কোনোমতে মান বাঁচালেও বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারে শান্তর দল। আর ভারতের বিপক্ষে তো কোনোরকম প্রতিত্বদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই আত্মসমর্পণ করলো বাংলাদেশ।
এদিন ভারতের লক্ষ্যে ব্যাট করতে শুরুতেই নেমে শূন্য রানেই আউট হন ওপেনার সৌম্য সরকার। ওয়ানডাউনে নামা লিটন দাস মাত্র ৬ রানেই বোল্ড হন আর্শদ্বিপ সিংয়ের বলে।
অধিনায়ক শান্তও শূন্য রানে ফিরলে চাপে পরে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি হৃদয় ও তানজিদ তামিম। পরে রিয়াদ-সাকিবের ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলাদেশ। তবু শেষ রক্ষা হয়নি টাইগারদের।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো করতে পারেনি ভারত। শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ১ রান করা সাঞ্জু স্যামসনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সাকিবের ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়ান রিশাভ পন্ত।
যদিও পরের ওভারেই ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগে রোহিত শর্মাকে ফেরান রিয়াদ। তবে ঠিকই নিজের ফিফটি তুলে নেন রিশাভ পন্থ। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়ো ৪০ রানে বড় পুঁজি পায় রোহিতের দল। শেষ পর্যন্ত ১৮২ রান করে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় এ ম্যাচে খেলার সুযোগ পাবেন স্কোয়াডে থাকা সবাই। তবে ইনজুরিতে থাকা তাসকিন ও মোস্তাফিজকে বিশ্রামে রেখেছে টাইগাররা। আর ভারতীয়রাও বিশ্রামে পাঠিয়েছে অভিজ্ঞ বিরাট কোহলিকে।