২রা জুন থেকে শুরু হচ্ছে ক্রিকেটের অন্যতম বড় আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারই প্রথম ২০ দলের অংশগ্রহণে হবে এই আসর। উগান্ডা-পাপুয়া নিউগিনিসহ বেশ কয়েকটি দল প্রথমবার আইসিসির বৈশ্বিক কোনো আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। মূলত বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের বিস্তার ঘটানোর জন্য এতো বড় পরিসরে আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। সাথে খেলাটির বাণিজ্যিকীকরণ তো থাকছেই।
ক্রিকেট বিশ্লেষক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, 'আইসিসি একটু বড় পরিসরে চিন্তা ভাবনা করে। ক্রিকেটকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ।'
বেশকিছু নবাগত দল আসায় আসরের মান কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসরে দেখা যেতে পারে বেশকিছু অঘটন, যা খেলাটির আকর্ষণ আরও বাড়াতে পারে।
ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, 'নেদারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড নিজেরা টুর্নামেন্ট খেলেছে এবং বেশ ভালো খেলেছে। সুতরাং ওরা খেললে কখনোই আসরের মান কমবে না। বরং তারা ওপরের সারির কিছু দলগুলোর জন্য আতংক হতে পারে।'
যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট নিয়ে ধারণা নেই অংশগ্রহণকারী কোনো দলেরই। তবে বিশ্বকাপ যেহেতু, স্পোর্টিং উইকেট থাকবে বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
ক্রিকেটের কুলীন দেশগুলোতে সাধারণত বিশ্ব আসর বসে। তবে প্রথমবার আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র আয়োজন করছে এই মেগা আসর। তাই তো চার-ছক্কার লড়াই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ভক্তদের মাঝে।
সমর্থকরা বলেন, এবারের বিশ্বকাপ যেকোনো বছরের চেয়ে একটু ভিন্ন হবে। কারণ এতো দলের অংশগ্রহণ এর আগে আমরা দেখিনি। বিশ্বের অনেক ভালো খেলোয়াড় ছোট দলগুলোতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং তাদেরকে হালকা করে ভাবার সুযোগ নেই।
ক্রিকেটের বিস্তার ঘটানো কিংবা বাণিজ্যিকিকরণের জন্য আইসিসির এতো বড় পরিসরে বিশ্বকাপ আয়োজনের যে উদ্যোগ, সেটি সফল হলে ক্রিকেটের ভিন্নরূপ দেখতে পারে ক্রিকেট বিশ্ব।