আমেরিকা আর উইন্ডিজ মিলিয়ে রেকর্ড ৯টি ভেন্যুতে হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। অস্থায়ী কাঠামোতে গড়া বলে এ ভেন্যুটি নিয়ে আলোচনা বেশি। ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটিতে ম্যাচ হবে ৮টি। পুরো বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দর্শক ধারণক্ষমতার ভেন্যু এটা।
মাত্র ৫ মাসে তৈরি হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এ মাঠে ভারত-পাকিস্তান মহারণ তো আছেই। সঙ্গে বাংলাদেশও খেলবে নাসাউ কাউন্টি গ্রাউন্ডে। ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ ছাড়াও গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে এ মাঠেই খেলবে শান্তর দল।
ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল ব্রাউয়ার্ড পার্ক স্টেডিয়াম যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো ভেন্যু। এ মাঠে বাংলাদেশ দলের খেলার অভিজ্ঞতা আগেও রয়েছে। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবদের কোনো ম্যাচ নেই ভেন্যুটিতে। গ্রুপ পর্বের ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ফ্লোরিডার ২০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ভেন্যু গ্র্যান্ড প্রেইরি। ডালাস শহরে গড়ে ওঠা মাঠটিতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধন। এখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। বৈরী আবহাওয়া সে ম্যাচটি পণ্ড হয়ে যায়। মার্কিন মুল্লুকের এ ভেন্যুটিতেও হবে গ্রুপ পর্বের ৪ টি ম্যাচ।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের কেনসিংটন ওভাল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন স্টেডিয়াম। বার্বাডোজের ভেন্যুটিতে সর্বোচ্চ ৯টি ম্যাচ হবে।এর মধ্যে আছে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ১৮৬১ সালে তৈরি হওয়া মাঠটিতে এর আগেও বিশ্বকাপের অনেক ম্যাচ গড়িয়েছে। এ মাঠের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারবে ২৮ হাজার মানুষ।
আর একটি অন্যতম ভ্যানু হলো সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নাস ভ্যাল গ্রাউন্ড। উইন্ডিজের এ ভেন্যুতে তুলনামূলকভাবে ম্যাচ কম হয়। এ মাঠটিতে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ খেলবে দুটি ম্যাচ। যেখানে শান্ত-সাকিবদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস আর নেপাল।
বিশ্বকাপে নাসাউ কাউন্টি গ্রাউন্ডের সমান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮টি ম্যাচ হবে অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে। নর্থ সাউন্ড শহরে মাঠে দর্শক ধারণক্ষমতা ১০ হাজার। এগুলো ছাড়াও উইন্ডিজের আরও তিন ভেন্যুতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ। যার মধ্যে দুটি ভেন্যু ভিভ রিচার্ডসের মতোই ক্যারিবীয় দুই কিংবদন্তীর নামে গড়া হয়েছে।