টি টোয়েন্টি মানেই ধুন্ধুমার চার ছয়। তবে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এবার ছাড়িয়ে গেছে আগের সব হিসাব, সব ধারণা। সীমিত ওভারের লিগটিতে অন্যান্যবার ব্যাটারদের সাথে বোলারদেরও সমান দাপট থাকলেও, চলতি আসরে চলছে ব্যাটারদের একক রাজত্ব।
গত ১৬টি আইপিএলে আড়াইশোর বেশি স্কোর হয়েছিল মাত্র দুটি ম্যাচে। ২০২৪ আইপিএল এখনও শেষ হয়নি। অথচ এরই মধ্যে দলীয় স্কোর আড়াইশোর কোটা পার হয়ে গেছে ৮ বার। প্রথম ইনিংসে এতো এতো রান করেও স্বস্তিতে থাকতে পারছে না কোনো দল। কারণ ব্যাটারদের আগ্রাসনে পাহাড়সম লক্ষ্য সহজেই তাড়া করার উদাহরণ কম নয়।
এই যেমন গেল মাসে ইডেনে পাঞ্জাব কিংসকে ২৬২ রানে লক্ষ্য দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বড় টার্গেট দিলেও স্বাগতিক দলটির বোলাররা একরকম অসহায়ই ছিল। আন্দ্রে রাসেল, চামিরা, সুনিল নারিনরা সেদিন পাত্তাই পাননি কিংস ব্যাটারদের কাছে। বলা যেতে পারে বেয়ারস্টো, শশাঙ্ক সিংরা তাদের তুলোধুনো করেছেন। আড়াইশোর বেশি টার্গেটের ম্যাচ পাঞ্জাব কিংস জিতেছে ৮ বল হাতে রেখে। এবারের আইপিএলে বেশিরভাগ ম্যাচে এতো রান হওয়ার কি কারণ? ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী মনে করছেন, ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচের জন্যই অধিক রান হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'ব্যাটারদের জন্য আদর্শ উইকেট তৈরি হচ্ছে। ভারতে মাঠও খুব বড় নয়। প্রায় প্রতি ওভারেই ছক্কা হচ্ছে। এখন এভাবেই খেলার কথা ভাবছেন ক্রিকেটাররা। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসায় আরও সুবিধা হয়েছে।'
আগে যেসব স্টেডিয়ামের পিচে পেসার অথবা স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতেন সেসব মাঠেও রান বন্যা বইছে। এরমধ্যে অন্যতম চেন্নাই, মুম্বাই ও দিল্লির মাঠ। এজন্য প্রায়ই রেকর্ড হচ্ছে এবারের আসরে। পাওয়ার প্লে কিংবা ডেথ ওভার। কোথাও ছড়ি ঘুরাতে পারছেন না বোলাররা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাটারদের নৈপুণ্য দেখছে আইপিএলের দর্শকরা। ভারতের সাবেক অধিনায়কের ধারণা ভবিষ্যতেও এভাবেই রান হবে।
গাঙ্গুলি বলেন, 'আগামী দিনে এ ভাবেই খেলা হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শক্তিই সব। এখন থেকে সেটাই দেখা যাবে। স্যাঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে বলছে, এখনকার সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেখার সময় নেই। শুধুই মারতে হবে।'
আইপিএলে এখনেও বাকি ১৫টি ম্যাচ। সে ম্যাচগুলোতে যে রানের আরও রেকর্ড হবে, তা সহসাই বলা যায়।