নিজেদের ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০১ রান সংগ্রহ করে সানরাইজার্স। দলের ওপেনার অভিষেক শর্মা ১২ রান করে ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার ট্রেভিস হেড করেন ৫৮ রান। হায়দ্রাবাদকে বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয় হেডের ৪৪ বলে ৫৮ রানের এই ইনিংস।
অভিষেক ফিরে গেলে মাঠে আসেন ব্যাটার অনমলপ্রীত সিংহ। তিনিও হেডকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান অনমলপ্রীত। এরপর হেডের সাথে জুটি বাধেন নীতীশ কুমার রেড্ডী। হেড-রেড্ডী একসঙ্গে করেন ৯৬ রানের জুটি।
এই জোড়া ভাঙ্গর পর দ্রুত রান উঠানোর দায়িত্ব নেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন। মাত্র ১৯ বলে ৪২ রান করেন হেনরি। আর রেড্ডী শেষ পর্যন্ত করেন ৪২ বলে ৭৬ রান। এর মধ্যে ৮টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
রাজস্থানের হয়ে বোলিং ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান দেন যুজবেন্দ্র চহাল। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার পর চাহালের এই পরফরম্যান্স হতাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। নিতে পারেননি কোনো উইকেট।
২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রয়্যালস। ওপেনার জস বাটলার ফেরেন কোনো রান না তুলেই। এরপর মাঠে আসা ব্যাটার অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও রানের খাতা খোলার আগেই সাজ ঘরের পথ ধরেন। এই দুই জনেরই উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার।
এ দুই উইকেটের ধাক্কা সামলান যশস্বী জয়সওয়াল এবং রিয়ান পরাগ। তৃতীয় উইকেটে ১৩৩ রানের জুটি গড়েন তারা। এ সময় জয়সওয়াল আউট হলে ম্যাচে ফিরে আসেন। আউট হওয়ার আগে পরাগ করেন ৪৯ বলে ৭৭ রান। এবং জয়সওয়াল ৪০ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন।
ম্যাচ গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে ২ রানের প্রয়োজন ছিল সে সময়ে ভুবনেশ্বরের বলে এলবিডব্লিউ হন রভম্যান পাওয়েল। আর এতেই এক রানের জয় পায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।