ডেথ ওভারে হিসেবি বোলিং করে ম্যাচ জেতানোর অনেক নজির আছে মুস্তাফিজুর রহমানের। এ কারণে সেই সময়টাতে তার ওপরই আস্থা রাখেন অধিনায়করা। আইপিএলে লখনৌয়ের বিপক্ষে ম্যাচেও মুস্তাফিজেই ভরসা করেছেন চেন্নাই দলপতি রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
শেষ ওভারে প্রতিপক্ষের দরকার ছিল ১৭ রান। কিন্তু ফিজ তার দলকে জেতাতে তো পারেনেনি। উল্টো এক নো বল সহ ১৯ রান দিয়েছেন তখনও, ফিজের ওভার শেষ হতে বাকি ছিল ৩ বল। চেন্নাইয়ের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে জয় উল্লাসে মাতে লখনৌ সুপার জায়ান্ট।
ডেথ ওভারে মোস্তাফিজের এমন দুর্বলতা আশাহত করেছে ভক্তদের। এছাড়াও গত কয়েক ম্যাচ ধরেই ফিজ বেশ খরুচে। লখনৌয়ের এই ম্যাচে ২১টি ডেলিভারির মধ্যে ৯টি বলেই ছিল বাউন্ডারি। তার মধ্যে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। রান দিয়েছেন ৫১। যা কিনা গোটা ম্যাচে সর্বোচ্চ।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে গায়কোয়াড়ের শতকের ওপর ভর করে লখনৌয়ের বিপক্ষে ২১০ রানের লড়াকু পুঁজি পায় চেন্নাই। তবে স্টয়নিসের দাপুটে ব্যাটিংয়ের কাছে শেষমেষ হার মানতে হয় মুস্তাফিজদের। ম্যাচটিতে ১২৪ রানে অপারাজিত ছিলেন এই অজি ক্রিকেটার। ম্যাচ হারলেও মুস্তাফিজের ওপর দায় চাপাননি দলটির অধিনায়ক গায়কোয়াড়। তিনি মনে করছেন, মাঠে শিশির থাকায় বল গ্রিপ করতে সমস্যা হয়েছিল বোলারদের।
এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হেরেছে মুস্তাফিজের চেন্নাই সুপার কিংস। এতে পয়েন্ট টেবিলেও অবনমন হয়েছে তাদের। এক ধাপ নিচে নেমে পাঁচ নাম্বারে অবস্থান করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। হারের মধ্যে থাকলেও আশার খবর হলো, প্লে অফের রেস থেকে এখনও ছিটকে যায়নি ধোনিরা।
সামনে আরও ছয়টি ম্যাচ রয়েছে তাদের। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে জিততে হবে চেন্নাইকে। তাহলেই নিশ্চিত হবে প্লে অফের টিকিট। কিন্তু চেন্নাইয়ের হয়ে আর মাত্র দু'টি মাচ খেলতে পারবেন মুস্তাফিজ। ১ মে শেষ ম্যাচ খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে দেশে ফিরতে হবে দ্যা ফিজকে।