বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবার দেশে আমন্ত্রণ জানানোর উচ্ছ্বাসেই শেষ। হয়তো প্রত্যাশা ছিল ভালো খেলার, কিছুটা দূরাশা হলেও নিজেদের মাঠে জয়ের স্বপ্নও বুনছিলেন কেউ কেউ। তবে প্রত্যাশার ধারেকাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।
ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর টি-টোয়েন্টিতেও অজি নারীদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধ গড়তে পারছিলেন না জ্যোতি-মুর্শিদারা। তবে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে শতরান পেরিয়েছিলেন টাইগ্রেসরা। স্বান্ত্বনা ছিল এটুকু। এবার সেটিও পারলো না বাংলাদেশ। গুটিয়ে গেল মাত্র ৭৮ রানে।
স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেননি তিনি। করেছেন ৩২ রান। তিনি ছাড়া আর কেবল তিন জন পৌঁছুতে পেরেছেন দুই অংকের ঘরে। তিনজন সাজঘরে ফিরেছেন শূন্য রান করে।
বাংলাদেশের মেয়েরা যে রান করেছে, আগে ব্যাট করে তার প্রায় দ্বিগুণ রান করেছে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। অ্যালিসা হিলির ৪৫ আর ম্যাকগ্রার অপরাজিত ৪৩ রানে ১৫৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় অজিরা। যে রান টপকানো তো দূরে থাক, কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টাও করতে পারেনি বাংলাদেশ।
দুই ফরম্যাটের সিরিজে অজি নারীরা দেখিয়ে গেল কিভাবে ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণে নিজেদের খেলার স্টাইল বদলে ফেলতে হয়। শেখালো পেশাদারিত্বের ছোঁয়ায় কিভাবে নিজেদের বিশ্বমানে পৌঁছানো যায়। দুই সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ এইটুকু শিক্ষা নিলেও, কিছুটা প্রাপ্তি যোগ হতে পারে।