ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে কোনো পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। এটাতেই স্পষ্ট সাদা বলে কতটা পিছিয়ে আছে দেশের মেয়েরা। শুধু যে সাদা বলের খেলায় পিছিয়ে আছে তা কিন্তু নয়। লাল বলেতো এখনও পথচলায় শুরু হয়নি জ্যোতিদের।
এবার শুধু ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে অজি মেয়েরা। যদিও বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পরও তাদের সাথে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলবে না তারা। এবার না হলেও আসলে টেস্ট ম্যাচ খেলতে কি বাংলাদেশের মেয়েরা প্রস্তুত?
ছেলে মেয়ে সমান নীতিতে টেস্ট ক্রিকেটেও ম্যাচ ফি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান মেয়েরা পায় ২০ হাজার ডলার। এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সব থেকে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলা অজিরা খেলেছে সর্বমোট ৮০টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টির এই যুগে এখনও কি লাল বল উপভোগ করে অজি মেয়েরা? প্রশ্ন ছিল অজি ওপেনার ফোব লিচফিল্ডের কাছে।
লিচফিল্ড বলেন, 'হ্যাঁ, আমরা টেস্ট ক্রিকেট খেলতে অনেক পছন্দ তরি। শুধু আমি না, অধিকাংশ ক্রিকেটারই টেস্ট ক্রিকেটকে স্পেশাল মনে করে। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। তবুও আমি উপভোগ করি।'
কম সময়ে তুলনামূলক কম পরিশ্রমে চাইলেই তো টেস্ট না খেলেও বেশি টাকা উপার্জন করা যায় ক্রিকেটে। তবুও কেন লাল বলে এতো আনন্দ পায় অস্ট্রেলিয়ান মেয়েরা? এই ফরম্যাটে সাফল্য পাওয়ার পেছনের গল্পটা তাই কঠোর পরিশ্রমের।
লিচফিল্ড আরও বলেন, 'আমরা লাল বলে একাধিক সপ্তাহ অনুশীলন করি। আপনাকে ধৈর্য ধরে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমি জানি এটা অনেক কঠিন। কিন্তু মানসিক প্রান্তি পেতে হলে শক্ত শ্রম আপনাকে দিতেই হবে।'
বাংলাদেশের মেয়েরা অল্প অল্প করে প্রস্তুত লাল বলের জন্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরু হয়েছে লংগার ভার্সনের লাল বলের ম্যাচ। অজি এই ওপেনারও তাই বললেন মান সম্মত ঘরোয়া ক্রিকেটের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি সবার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে হবে, আমি জানি না এখানের কি অবস্থা। এটা ঠিক যে টেস্ট ক্রিকেট অনেক কঠিন। আসলে সমস্যাটা আগে খুঁজে বের করতে হবে।'
২০২১ সালে এপ্রিলে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া বাংলাদেশর মেয়েদের প্রায় তিন বছর হতো চললো। তবুও এখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হতে পারেনি। তাইতো স্বর্ণতারিখটা কবে আসবে তা অজানা জ্যোতি ফারজনাদের।