ছন্দে নেই বাংলাদেশের ব্যাটিং। দেশের মাটিতেই সবশেষ সিরিজে কাগিসো রাবাদার তোপের সামনে টিকতে পারেনি তারা। সেখানে অ্যান্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে সামলাতে হবে ক্যারিবিয়ানদের পাঁচ পেসারকে। সাথে আছে এই ভেন্যুতেই ২০১৮ সালে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৪৩ রানে অল আউট হবার দুঃসহ স্মৃতি।
তাই হয়তোবা টস জিতে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ পঞ্চপান্ডবহীন নতুন বাংলাদেশ দলের অধিপতি মেহেদি হাসান মিরাজের বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। অ্যান্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। ডানহাতি বাঁহাতি বোলিং কম্বিনেশনের খড়া পড়েছে পেস সেনসেশন নাহিদ রানার ওপর। তার বদলে সুযোগ মিলেছে শরিফুল ইসলামের।
পেসারদের বল শুরুতে দেখেশুনে খেললেও তাসকিন আহমেদের জোড়া আঘাতে স্কোরবোর্ডে ২৫ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট উন্ডিজ। পরপর দুই ওভারে দুটি উইকেট পান ঢাকা এক্সপ্রেস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মিকাইল লুইস ও কাভেম হজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। প্রথম দুই সেশনে প্রথাগত টেস্ট খেলা ক্যারিবীয়রা তৃতীয় সেশনে মিরাজ-তাইজুলদের ওপর চড়াও হয়ে তর তর করে এগিয়ে গেলেও সেঞ্চুরির একেবারে কাছে গিয়ে ৯৭ রান করেই ফিরতে হয় লুইসকে।
একই পথ ধরেন অ্যাথানজও। ৯০ রান করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। শেষ বিকালে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান তাইজুল ও মিরাজ। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।
দিনের বাকি সময় উইকেট না পেলেও প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চাপে রাখে টাইগার বোলিং ইউনিট। জাস্টিন গ্রিভস এবং জশুয়া দা সিলভার ব্যাটে ৮৪তম ওভারে ক্যারিবিয়ানরা আড়াইশ রানে পৌঁছালে আলোকসল্পতায় তখনই দিনের খেলা শেষ হয়। জাস্টিন গ্রেভস ২৬ বলে ১১ এবং জসুয়া দা সিলভা ২১ বলে ১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন।
নতুন বল মাত্র চার ওভার পুরোনো। দ্বিতীয় দিন সকালে স্বাগতিকদের দ্রুত গুটিয়ে দিতে এই বলে তাসকিন-হাসান-শরীফুলদের গতি আর সুইংই হবে বাংলাদেশের বড় ভরসা।