সিরিজের প্রথম ওয়ানডের আগে নেটে এভাবে মেশিনে ব্যাট করতে দেখা যায়নি বাংলাদেশের মেয়েদের। মূলত অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের গতি সামলাতে মেশিনে ব্যাটিং অনুশীলন ফারজানাদের।
প্রস্তুতি ঠিকই এগোচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাটাররা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। ফারজানার ওয়ানডেতে দুই সেঞ্চুরি, অধিনায়ক জ্যোতির ৪ আর মুর্শিদার ৩ ফিফটি। এছাড়া একাদশে থাকা ব্যাটিং অর্ডারে সোহানা, ফাহিমা, রিতু ও স্বর্ণার ফিফটি তো দূরে থাক নেই কোন ৪০ ঊর্ধ্ব ইনিংস। অথচ তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বয়স ৩ থেকে ১০ বছরের উপর।
ক্রিকেটার ফাহিমা খাতুন বলেন, ‘কম গেম খেলার কারণে বা আমাদের ক্যারিয়ার অত বড় না। তবে আমি মনে করি এখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমি মনে করি না যে, আমাদের ব্যাটসম্যানদের কমতি আছে। যারা আছে তারা অনেক স্কিলফুল এবং তারা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে।’
টপ অর্ডারে ব্যাট করা সোহানা মুস্তারি ১২ ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ২৩, মিডল অর্ডারে ফাহিমা ৪৭ ম্যাচে ২২ আর রিতু মনি ৪১ ম্যাচে ৩৩ রান। এতো লম্বা সময় পরও কেনো তাদের ব্যাটিংয়ের এমন বেহাল দশা?
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডার তো বিশ্বমানের। তাদের সাথে তুলনা হয় না। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের বিপক্ষে জয়ের জন্য মাঠে নামবে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার ১ থেকে ৫ নম্বরে থাকা ব্যাটারদের ওয়ানডেতে ১৩টি সেঞ্চুরি। এরপর যারা ব্যাটিং অর্ডারে আছে তারাও ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিতে পারে প্রথম ম্যাচেই তা প্রমাণ করেছে।
অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড বলেন, ‘হ্যাঁ, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং গভীরতা ভালো। শুধু ব্যাটিংয়ে নয়। সব বিভাগে আমরা ভালো করতে মুখিয়ে থাকি। আর এখানকার কন্ডিশন অনুযায়ী ব্যাট করার চেষ্টা করছি আমরা।’
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব র্যাকিংয়ে এক নম্বর দল আর বাংলাদেশ সাত নম্বরে। র্যাকিং, ইতিহাস, ঐতিহ্যর পার্থক্য বুঝা যাচ্ছে দুই দলের তফাৎ আসলে কোথায়।