২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় শ্রীলঙ্কার

0

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা হলো না বাংলাদেশের। সিলেটে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানদের কাছে ২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এদিন, শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে শান্তদের ১৭৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় সফররতরা। জবাব দিতে নেমে ১৪৬ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।

সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে স্বাগতিকদের হারিয়েছে লঙ্কানরা। ১৭৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নড়বড়ে শুরু বাংলাদেশের। দলীয় ১৩ রানেই ইন-ফর্ম ব্যাটার লিটনকে ফেরান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

তারপর পাথিরানার বদলি খেলতে নামা পেসার থুসারার সুইংয়ে নাকাল শান্ত-হৃদয়-রিয়াদরা। নিজের প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক করেন ডানহাতি এই বোলার। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান জমা হতেই বাংলাদেশের নেই ৪ উইকেট। ম্যাচটা মূলত তখনই হাতছাড়া হয়ে যায় টাইগারদের।

অনিক আর সৌম্য ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন দু'জনই। টাইগার ভক্তদের মনে হয়তো তখন শঙ্কা জেগেছিল সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবে কিনা হাথুরুর দল।

তবে, মাহেদী আর রিশাদ তা হতে দেননি। চাপের মুখেও ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন তারা। মাহেদী ইনিংস লম্বা করতে না পারলেও বাংলাদেশের রান খরার দিনে তার স্কোরটাকে মন্দ বলা যাবে না। কারণ টপ আর মিডল অর্ডারদের কেউই তার সমান রান করতে পারেননি।

পয়সা খরচ করে যারা মাঠে বাংলাদেশের খেলা দেখতে এসেছেন, তারা রিশাদের ইনিংসটা দেখে সান্ত্বনা পেতেই পারেন। ৭ ছক্কার বিনিময়ে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হলেও বুক চিতিয়ে লড়াই করে যান এই অলরাউন্ডার। থিকসানাকে উইকেট দেয়ার আগে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন এই ক্রিকেটার।

তাকে সঙ্গ দিতে থাকা তাসকিনও তাণ্ডব চালিয়েছেন লঙ্কান বোলারদের ওপর। তার ৩১ রানের ইনিংসে ছিলো দুই ছয় ও ৩টি চারের। তাসকিন অপরাজিত থাকলেও শরীফুল আর মুস্তাফিজ তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ফলে, নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কুশল মেন্ডিসের ৮৬ রানের ওপর ভর করে ১৭৪ রানের বড় পুঁজি পায় সফররতরা।

সেজু