আইপিএল মানেই যেন অর্থের ঝনঝনানি। দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের এক সুতোয় গেঁথে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করা হয় এ লিগে। এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নামিদামি ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে অন্যতম আইপিএল ছিল শুধুই পুরুষদের। তবে এ ধারা থেকে বেরিয়ে বিসিসিআই গত বছর নারীদের আইপিএল শুরু করেছে। ধীরে ধীরে নারীদের আসরেও জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
সে ধারাবাহিকতায় ৫ দল নিয়ে এবার আসরের দ্বিতীয় সংস্করণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসর সামনের দিকে এগিয়ে গেলেও প্রাইজমানি একই রয়েছে। প্রথম আসরে টুর্নামেন্টের জন্য বরাদ্দ ছিল ৯ কোটি সাড়ে ৩৩ লাখ রুপি।
এবারও একই প্রাইজমানিতে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে উঠবে ঝকঝকে ট্রফি। তার সাথে সঙ্গে দেয়া হবে ৬ কোটি রুপি। আর শিরোপা হাতছাড়া হওয়া রানার্সআপ দলের পুরস্কার ৩ কোটি রুপি।
ফাইনালে দুই দলের প্রাইজমানি ছাড়াও থাকছে ক্রিকেটারদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অর্থের হাতছানি। দ্বিতীয় আসরে সবচেয়ে বেশি রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতে ৫ লাখ রুপি জয়ের সুযোগ থাকবে নারীদের। এছাড়া আসর শেষে সবচেয়ে বেশি উইকেট, ব্যাটে বলে নজরকাড়া পারফরম্যান্স, সেরা উঠতি ক্রিকেটার হয়েও বিশাল অঙ্কের অর্থ নিজের নামে করার সুযোগ রয়েছে হরমানপ্রিত কর, স্মতি মানধানা, অ্যালিসা হিলিদের।
ছেলেদের আইপিএলে টাকার ছড়াছড়ি নতুন কিছু নয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের আয়ের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে এই টুর্নামেন্ট। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া আসরে ৪ দশমিক ৮ কোটি রুপি থেকে সবশেষ ২০ কোটি রুপিতে এসে ঠেকেছে ছেলেদের চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি।
ক্রিকেটে বাণিজ্যিকীকরণ বেড়ে যাওয়ায় পুরুষ আইপিএলের মতো নারী দলের আসর শুরুর মতো প্রাইজমানিও বাড়বে বলে আশা ক্রীড়াপ্রেমীদের।