অন্যদিকে বিশ্বের পঞ্চম ধনী ক্রিকেট বোর্ড হয়েও তালিকার সেরা পাঁচে নেই বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ।
ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। কাড়ি কাড়ি অর্থের ঝনঝনানির কারণে ক্রিকেটারদেরও বেশ আগ্রহ থাকে আইপিএলে খেলার ব্যাপারে। ফ্রাঞ্চাইগি এই লিগের কারণে অনেক ক্রিকেটার রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। পেয়েছেন তারকা খ্যাতিও।
বিশ্বের নামিদামি ক্রিকেটারদের দলে ভেড়াতে অঢেল অর্থ খরচ করে থাকে ফ্রাঞ্চাইজি দলগুলো । ঠিক তেমনি এসব দলগুলোকে আকৃষ্ট করতে দিন দিন আর্থিক পুরস্কারের অঙ্কটাও বাড়িয়ে চলছে লিগ কমিটি। আর অর্থ ব্যয়ের এই তালিকায় অনুমীয়ভাবেই সবার উপরে আছে আইপিএল। সবশেষ মৌসুমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রাইজমানির সংখ্যা ছিলো মোট ৬১ কোটি টাকা।
সর্বোচ্চ অর্থ পুরস্কার দেয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। অবাক করা হলেও আফ্রিকান ফ্রাঞ্চাইজি লিগ অর্থাৎ এসএ টি-টোয়েন্টিতে এবারের আসরে অর্থ পুরস্কার বাবদ ৪০ কোটি টাকার বেশি দেয়া হবে। ফলে আইপিএলের পরেই জায়গা করে নিচ্ছে এসএ টি-টোয়েন্টি।
অস্টেলিয়ান ক্রিকেট ফ্রাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশ ছিলো এতো দিন এই তালিকার দ্বিতীয়তে। আগের আসরে বিগ ব্যাশে প্রাইজমানি বাবদ তারা ব্যয় করছিলো ৩৯ কোট টাকা। যা চলতি আসরে থাকবে একই। তবে এসএ টি-টোয়েন্টির ৪০ কোটি টাকা ব্যয় বিগ ব্যাশকে নিয়ে গেছে তৃতীয় স্থানে।
শীর্ষ ধনী ক্রিকেট বোর্ডের তালিকায় বাংলাদেশ পাঁচে থাকেলও অর্থ পুরস্কারের এই তালিকায় বিপিএলের অবস্থান তলানিতে। তাইতো আইপিএল, এসএ টোয়েন্টি, বিগ ব্যাশের পরেই জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগ। পিএসএলে সবশেষ আসরে ৩৮ কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার দিয়েছে ।
ক্রিকেটারদের ঠিক মতো পারিশ্রমিক দিতে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আছে তালিকার পাঁচে। পুরো আসরে প্রাইজমানি বাবদ দেয়া হবে ২৩ কোটি টাকা। ফলে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোকে অর্থ ব্যয়ে পেছনে ফেলেছে ক্যারিবিয়ানরা।