নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম জয়টা এসেছিলো মাউন্ট মঙ্গানুয়েতে। তাও আবার কিনা ক্রিকেটে অভিজাত ফরম্যাট টেস্টে। সেবারও সিরিজ জিততে ব্যর্থ হয়েছিলো বাংলাদেশ। তারই পুনরাবৃত্তি হলো আবার। এবার, টি টোয়েন্টিতেও হতাশ করলেন শান্ত- মিরাজরা। সমতায় সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের।
নেপিয়েরে দাপুটে জয়ে সিরিজের শুরুটা করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টি বাধা পণ্ড হয়ে গেলে শেষ টি-টোয়েন্টি গড়ায় সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে। একই ভেন্যুতে স্বল্প রানের টার্গেটেও নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডারদের ভিত নাড়িয়ে দেয় টাইগার বোলাররা। যার শুরুটা করে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের নায়ক শেখ মেহেদি। দলীয় ১৬ রানে টিম শিফার্টকে ফেরান তিনি।
এরপর দ্রুত আরও তিন উইকেট হারিয়ে বেশ ভালোই চাপে পরে কিউইরা। সেখান থেকেই জেমস নিশামকে সাথে নিয়ে রানের গতি ঠিক রাখেন ফিন অ্যালেন। তবে শরিফুলের বলে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে আউট হলে আবারো ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তবে, অধিনায়ক স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই সেই বিপদ সামাল দেন নিশাম। ১৪ ওভার ৪ বল ও ৯৫ রানের সময় বৃষ্টি বাধায় বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। পরিবর্তীতে খেলা আর মাঠে না গড়ালে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানের জয় পায় ব্ল্যাকক্যাপরা। ফলে, সিরিজে ১-১ এ সমতা নিয়ে সন্তুষ্ট থেকে বছরটা শেষ করলো বাংলাদেশ।
আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি সফররতদের। দলীয় মাত্র ৪ রানে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। সাউদির বলে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। এরপর ওপেনার রনি তালুকদারকে সাথে নিয়ে টাইগারদের রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক শান্ত। তবে, ১৫ বলে ১৭ রান করে শান্ত আউট হলে থেমে যায় সেই গতি।
অন্যদিকে, রানের খাতা বড় করতে পারেনি রনি তালুকদারও। আউট হন ১০ রানে। মিডল অর্ডারে নামা তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন ১৮ রানের জুটি ভাঙেন কিউই অধিনায়ক স্যান্টার। শেষদিকে আর কেউ দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। আর বাংলাদেশও অলআউট হয় ১১০ রানে। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন অধিনায়ক স্যান্টনার।