পঞ্চগড়ের জিতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ। এক পাশে দুর্গাপূজার মণ্ডপ, অন্য পাশে মসজিদ। দুই দশক ধরে এ মাঠে পাশাপাশি চলে আজান-আরতি-নামাজ আর পূজা অর্চনা।
এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাসিন্দারা জানান, তারা আজানের সময় গান-বাজনা থেকে বিরত থাকেন। মুসলিমরাও তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। কোনো ধরণের সমস্যা হয়না তাদের।
আজানের ধ্বনি উঠলে থেমে যায় ঢাক-ঢোল, থেমে যায় পূজার গান-বাজনা। আবার পূজার ব্যস্ততায় মুসলিম প্রতিবেশীরাও কাঁধ মেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে।
এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা জানান, এখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্ম সুন্দরভাবে পালন করতে পারে। মুসলমানরাও সমানভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন:
দুই ধর্মের মানুষের এ সম্প্রীতি নজর কেড়েছে সবার। জেলায় এবার ২৯৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পঞ্চগড় গড়িনাবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দিপু বলেন, ‘আমাদের এ পূজামণ্ডপটি একটি উদাহরণও বলা যায়। রাজনৈতিক দলগুলো থেকে শুরু করে আমরা সব ধর্মাবলম্বী মানুষ সার্বিক সহায়তায় কাজ করি।’
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ‘এখানে প্রায় ২৯৯টি পূজামণ্ডপের মাধ্যমে পূজা উৎযাপন করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদানসহ বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’





