এ ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানান এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটপূর্ণ সময়ে বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে এতদিন আটটি দল একসঙ্গে কাজ করে আসছিল। এর সঙ্গে এখন আরও দুটি দল—এলডিপি ও এনসিপি যুক্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
তিনি জানান, সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ আগেই এনসিপির সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সরাসরি ওই বৈঠকে অংশ নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তবে সময় স্বল্পতার কারণে এনসিপির কোনো নেতা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। আজ রাতের মধ্যেই এনসিপি আলাদা সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান জানাবে বলেও জানান জামায়াত আমির।
এদিকে, ফেসবুক পোস্টে সামান্তা শারমিন লেখেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রেস কনফারেন্স থেকে জানতে পারলাম, এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশের দিন জোটের মুখপাত্র ও এনসিপির আহ্বায়ক বক্তব্য অনুযায়ী, তা হওয়ার কথা নয়। এমনকি তিন দলের একটি দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন; এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে আসন সমঝোতার দিকে গেছে এনসিপি তাও উল্লেখ করেছেন।
তিনি লেখেন, তৃতীয় শক্তি তৈরির উদ্যোগকে ব্যাহত করে এমন অবস্থান জাতীয় নাগরিক পার্টির মূলধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমি এনসিপির এতদিনের সকল বক্তব্যকে ধারণ করি, স্বাগত জানাই। জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫.৩০ এ দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো। আমি পদত্যাগ করার কোন যৌক্তিকতা দেখছি না যেহেতু আমি এনসিপির আনুষ্ঠানিক সকল বয়ান সাবস্ক্রাইব করি। কেউ কেউ বিচ্যুত হলেও দল হিসেবে এনসিপি সঠিক অবস্থানেই ছিলো।
