প্রচারণাকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভ হওয়া ১৩ মিনিটের ভিডিওতে সাগর বলেন, ‘আপনারা ভোট দিলে বিএনপিকে দেবেন, না দিলে ঘরে শুয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের চোখের সামনে দিয়ে ওই জামাত রাজাকারদের ভোট দেবেন আর আপনারা বাড়িতে শান্তিতে থাকবেন। ওই শান্তিতে কিন্তু আমি থাকতে দেবো না।’
বক্তব্যটি প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সমালোচনা বাড়তে থাকলে তিনি ওই লাইভ ভিডিওটি নিজের আইডি থেকে সরিয়ে নেন। তবে এর মধ্যেই ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাদন মুন্সি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং এতে নির্বাচনি পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’ বিষয়টি তাদের নজরে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি উল্লেখ করে তিনি জানান, ঘটনা সত্য হলে দলীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অন্যদিকে নড়িয়া পূর্ব শাখা জামায়াতে ইসলামীর আমির কাজী আবুল বাসার জানান, বিতর্কিত ভিডিওটি তাদের নজরে এসেছে এবং তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘জনগণই এর উপযুক্ত জবাব দেবে এবং বিষয়টি তারা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে মতিউর রহমান সাগরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে বিএনপির ওই নেতা নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পরে আবারও লাইভে এসে তার আগের বক্তব্যের বিষয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেন।
সেখানে তিনি বলেন, ‘ওইটা আমার সঠিক বক্তব্য নয়, ওইটা একটি দুষ্ট চক্র এআইয়ের মাধ্যমে বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য একটি বক্তব্য ভাইরাল করেছে। তাই আমি সব মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া ও জাতীয় মিডিয়ার উদ্দেশে বলছি ওই বক্তব্য আমার নয়, সম্পূর্ণ কাটছাঁট করা বিভ্রান্তিমূলক ওই বক্তব্য আমার নয় বলেই আমি ফেসবুক লাইভে এসে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
শরীয়তপুর–২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘ভিডিওটি তাদের হাতে এসেছে এবং এটি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, শরীয়তপুর–২ আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শফিকুর রহমান।





