লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) ফ্লাইট ছেড়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এর আগে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন জুবাইদা রহমান। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আসলে ঠিক কখন খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠাতে কাতারের আমিরের দেয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রাতে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। দেশটির সরকারের পাঠানো অ্যাম্বুলেন্সটি মধ্যরাত বা আজ ভোরে ঢাকায় অবতরণ করতে পারে। দেশে অবতরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেবে এ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
তবে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে আজ রাত ৯টার দিকে জানানো হয়েছে, চেয়ারপারসনকে বহন করায় জন্য কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি সমস্যার কারণে যাত্রা বিলম্ব হবে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাতার থেকে উড্ডয়ন হবার আপনাদেরকে জানানো হবে।
গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৩০ নভেম্বর ভোরের দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) নেয়া হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। গত কয়েকদিন থেকেই এ অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি।
শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা যোগাযোগ রাখছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (বুধবার, ৩ ডিসেম্বর) রাতে চীন থেকে দেশটির চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসেন। রাতেই তারা খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:
গত সোমবার খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেদিন সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হলে এসএসএফ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে প্রথমে হাসপাতালে, পরে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নেন। প্রায় চার মাস পর গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন।





