আজ (সোমবার, ৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম. এ. হান্নান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসন থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছিলেন তার কর্মী-সমর্থক এবং দলের একাংশ। আপাতত আসনটি ফাঁকা রাখলেও এ আসনটিতেই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ধারণা করা হচ্ছে শরিক দলের জন্য আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান মনোনয়ন পেয়েছেন। যদিও বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে দলের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জিয়ার রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য প্রকৌশলী নাজমুল হুদা খন্দকার এবং জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন নবীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। এটিও শরিক দলের জন্য রাখা হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। যদিও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকির জন্য বিএনপি আসনটি ছেড়ে দেবে বলে নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি সব বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন। আমরা দল মনোনীত প্রার্থীদের জন্য কাজ করবো।’





