বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই যেসব ‘হেভিওয়েট’ নেতার নাম

তালিকায় নাম না থাকা বিএনপির কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী
তালিকায় নাম না থাকা বিএনপির কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী | ছবি: এখন টিভি
24

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ (সোমবার, ৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাম ঘোষণা শুরু করেন। তবে ঘোষিত এই প্রার্থী তালিকা প্রাথমিকভাবে বাদ পড়েছে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতার নাম। তালিকায় নেই বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার নাম।

সন্ধ্যায় সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দেখা গেছে এই তালিকায় নেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমানের নাম। প্রার্থী তালিকায় নেই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল, সদ্য মনোনীত যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবীরের নামও।

শামসুজ্জামান দুদু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতিবিদ এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে দু’বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়নি তার নাম। তার এই আসন থেকে প্রার্থী হিসেবে মো. শরীফুজ্জামানের নাম ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

নেই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আমিনুর রশীদ ইয়াসিনের নাম। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপনও নেই প্রার্থী তালিকায়।

আরও পড়ুন:

বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন বলে আলোচনায় ছিলেন একাদশ সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সদস্য রুমিন ফারহানার নাম। তবে মনোনয়ন তালিকায় দেখা যায়নি তারও নাম।

ঢাকা ১০ আসন থেকে বিগত সময়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম। এই আসনে একবার প্রার্থী হয়েছিলেন আরেক নেতা রবিউল ইসলাম রবি। তাদের দু’জনের নামও নেই ঘোষিত তালিকায়।

মাগুরার একটি আসন থেকে এবার দলীয় মনোনয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন আলোচিত নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। তার নামও নেই সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায়।

অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পরিবারের সদস্যদের অনেকেই বাদ পড়েছেন মনোনয়ন তালিকা থেকে। দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগে থেকে এক পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী না রাখার সিদ্ধান্ত ছিল দলের।

আরও পড়ুন:

যে কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদও বাদ পড়েছেন এই তালিকা থেকে।

তবে যেসব আসন থেকে বিএনপির সিনিয়র নেতারা দলের হাল ধরে ছিলেন তাদের উত্তরসুরী হিসেবে সন্তান বা স্ত্রীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে নাম ঘোষণার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা। এর মধ্যেও পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা এ পরিবর্তন আনতে পারি। অথবা যদি স্ট্যান্ডিং কমিটি মনে করে, পার্লামেন্টারি বোর্ড মনে করে তারা কোনো আসনে পরিবর্তন আনবেন, সেটা নিঃসন্দেহে যে নিয়মগুলো আছে, সেই নিয়মগুলো মেনে আমরা পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারব। তবে এই যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা আমরা দিচ্ছি, এটাকেই ধরে নিতে হবে সবচেয়ে এপ্রোপ্রিয়েট তালিকা।’

এসএস