বিএনপির এই ‘না’ পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে ছাত্রদল, যুবদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে কেবল ‘না’ লিখে পোস্ট দেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরকেও এ ধরনের পোস্ট দিতে দেখা যায়।
তবে প্রথমদিকে এই প্রচারণার উদ্দেশ্য নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। অনেকে ধারণা করেন, এটি হয়তো গণভোট বা জুলাই সনদ ইস্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
এর আগে, ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৮ দফা সুপারিশ দেয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল জাতীয় নির্বাচনের আগে আগামী নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব।
বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো সেই গণভোট প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে। গতকাল (বুধবার, ২৯ অক্টোবর) সকালে ছাত্রদল চার দফা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেয়, যেখানে বলা হয়—
১. ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধান থেকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্রকে—‘না’;
২. স্বাক্ষরের পর জুলাই সনদ পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রকে—‘না’;
৩. জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটকে—‘না’;
৪. শত শহিদের রক্তে কেনা জুলাই কারো বাপের—‘না’।
অন্যদিকে, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ তাদের ‘হ্যাঁ’ প্রচারণা চালালেও এখনো প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা দেয়নি, কেন এই শব্দটি বেছে নেয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের সংক্ষিপ্ত শব্দভিত্তিক প্রচারণা আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট ইস্যু ঘিরে জনমত গঠনের নতুন কৌশল হিসেবেই দেখা দিচ্ছে।





