বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে কি না—তা নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনার উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার নাকি এই দেশত্যাগের (আবদুল হামিদের) ব্যাপারে কিছুই জানে না। যত মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, প্রত্যেকে প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার জানেটা কী?’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘সঙ্গে এই অভিযোগও তুলছে, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অপরদিকে অত্যন্ত সুকৌশলে নানা ইস্যু সৃষ্টি করে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদবিরোধী যেসব রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে ছিল, সেই দলগুলোর ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর একটা ছিদ্র হয়তো তৈরি করতে চাচ্ছে। পলাতক স্বৈরাচারের সহযোগীদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রও হয়তো তৈরি করতে চাচ্ছে। এই বিষয়গুলো ঘুরেফিরে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে।’
এ ছাড়া সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের মূলমন্ত্র অক্ষুণ্ন রেখে সংবিধানের সমযোপযোগী সংস্কার করার ব্যাপারেও বলেন তিনি। যা এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার তুলে ধরেছে বলেও জানান তারেক রহমান।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেন কোন শক্তি বিভাজন তৈরি করতে না পারে।’





