সারজিস আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান যাদের ওপর সবার আস্থা রয়েছে। অভ্যুত্থানের সময় যেমন জনগণের পাশে ছিল, আগামীতেও থাকবে আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল, আছে এবং থাকবে। সেনাবাহিনী মানুষের পাশে থাকবে। অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি কখনো মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়াবো না। সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অবস্থান নেই।
আরো পড়ুন: আমাদের অবস্থান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির এ মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘সেনাবাহিনী প্রধানকে সরানো বা এরকম কোনো প্রশ্ন কখনো আসেনি, কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা আমাদের জায়গা থেকে কখনো এটা বলিনি। এই অবস্থাও তৈরি হয়নি। এ অবস্থা যাতে নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত তৈরি না হয় সেই প্রত্যাশা করি।’
মব জাস্টিস ও ন্যায়বিচার সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে এনসিপির উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘দেশের স্থিতিশীলতার জন্য যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে হবে। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঠিক হয়ে গেলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে পারবো। সংস্কারগুলো কোন পর্যায়ের হবে তাও ঠিক হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘রংপুর বিভাগকে এগিয়ে নিতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ প্রতিটি সেক্টরের মানুষকে কাজ করতে হবে। প্রতিটি সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে সমাধানে আগ্রহী হতে হবে। অঞ্চল ভিত্তিক বৈষম্যগুলোও দূর করতে হবে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘জনগণের চাওয়া অনুযায়ী কাজ করে যাবে এনসিপি।’
একই আয়োজনে যোগ দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফলতা আসবে। গণমাধ্যমে যাতে মালিকপক্ষ হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেই বিষয়ে আইন হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।’