হাসনাত বলেন, ‘আমাদের অবস্থান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়। কেউ তাদের ব্যবহার করে চক্রান্ত করতে চাইলে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা আছে, কোনো ব্যক্তির ওপর আমাদের ক্ষোভ নেই। রাজনৈতিক দিক গুলো রাজনীতিবিদদের উপর ছেড়ে দেন। সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে চায় সেটি হতে দেয়া হবে না। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের আস্থা আছে। সেনাবাহিনীর উপর আস্থা আছে আমরা বিশ্বাস করি তারা এর প্রতিদান দিবে।’
হাসনাত আরো বলেন, ‘আমরা কোনো ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে না। সেনাবাহিনীর উপর পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস ও পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আপনাদের উপর ভরসা রাখতে চাই, নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন, ল অ্যান্ড অর্ডার বুঝুন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র কাঠামোর বাইরে রেখে এবার সব হবে। আওয়ামী লীগের পতন হয়েছিল ৫ আগস্ট।অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের দ্রুত বিচার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাথে কোনো ইনক্লুসিভিটি হবে না। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে কেবল রাজনীতিবিদরা।’
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বলেন, ‘সরকারকে আহ্বান জানাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিবন্ধন বাতিল করে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এটি কোনো দল নয়, এটি ভারতীয় আধিপত্যবাদের এক্সটেনশন।’
তিনি আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আমরা কোনো নির্বাহী আদেশের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই না। বিচার নিশ্চিত করতে পারলে আগামী তিনশো বছরেও তারা ফিরতে পারবে না।’