ঐতিহাসিক ৫ আগস্টে এই মানিক মিয়া এভিনিউ পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সেই ঐক্য যেন আরও একবার দেখতে চলেছে বাংলাদেশ। জুলাই চেতনা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে এবার এ ঐক্য ছাত্র তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলকে কেন্দ্র করে।
নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দেশের সকল মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব। এসময় তিনি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষকে পাশে পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৩ ঘটিকায় মানিক মিয়া এভিনিউ সংসদ ভবনের আশেপাশের যে জায়গাটা সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের যাত্রা শুরু করতে পারবো। আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান থাকবে সারাদেশে যে যে প্রান্তে আছেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরে তারা আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।’
যেখান থেকে শেষ. সেখান থেকেই শুরু হবে নতুন বাংলাদেশের তারুণ্যের রাজনৈতিক পথযাত্রা। এরইমধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে নতুন এই রাজনৈতিক দলের নাম ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি।
দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম। সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকবে ১৫১ জন।
শীর্ষ পদ ছাড়াও কে কোন দায়িত্ব পাচ্ছেন তা জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা। ঐক্যের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চায় এই নতুন দল। তাই বৈষম্যের শিকার হবে না কেউ এমন আশ্বাস হাসনাত আব্দুল্লাহর কণ্ঠে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক দলে আমরা নানা শ্রেণি পেশার এবং আমরা দেখছি যে বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আমাদের নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হচ্ছে। সেখান থেকে অনেকেই যুক্ত হবে, অনেকে যুক্ত হয়ে চলে যাবে এটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা চেষ্টা করছি এ বিষয়গুলোকে কীভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক করা যায়।’
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ বিশিষ্টজনদের। তাই নিরাপত্তার কমতি থাকছে না বলেও জানান সংগঠকরা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শাকিল আহমেদ বলেন, ‘সারাদেশ থেকে কিন্তু প্রায় দেড়-দুই লাখ মানুষ এখানে উপস্থিত হবে। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অ্যাম্বাসেডর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা থাকবেন। পাশাপাশি গত ১৬ বছরে আওয়ামী শাসনামলে যারা গুম, খুন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন মানুষও থাকবেন।’
জনগণের সমর্থনে ও নতুন বাংলাদেশে আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন হয়ে উঠেছে বলেও জানান অনেকে।