গেল ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আহত সাতজনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেই হামলায় আহত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য আবুল কাশেম বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে মারা যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তাল হয়ে ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আবুল কাশেমের জানাজায় অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনগত প্রক্রিয়ার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এ অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য, দ্রুত তাদের বিচার করার জন্য আপনার আর কি কি প্রয়োজন? ইতিমধ্যে আয়নাঘর উন্মোচিত হয়েছে। আপনারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনগত প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।’
এসময় দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদমুক্ত করার ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।
তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের একজন সৈনিক জীবিত থাকবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবর না দেয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।’
জানাজায় অংশ নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের শক্তি কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার দাবিও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শহীদ ভাইয়ের লাশের শপথ নিয়ে বলছি আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে আমাদের শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা এ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়ে যাব।’
জানাজা শেষে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় স্লোগানে স্লোগানে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার দাবি জানান তারা।
আজ সকালে গাজীপুরে আরেকটি জানাজা শেষে আবুল কাশেমকে দাফন করা হবে।