অর্থনীতি , পরিষেবা
দেশে এখন
0

ই-ট্রেড লাইসেন্সেও উত্তর সিটি'র নাগরিকদের ভোগান্তি কমেনি

বছরখানেক আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ই-ট্রেড লাইসেন্স সেবা শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, এই সেবা চালুর পর সিটি করপোরেশনে ট্রেড লাইসেন্স করতে আসা গ্রাহকদের ভোগান্তি কমবে। কিন্তু এখনও ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হচ্ছে।

নতুন ব্যবসার জন্য উত্তর সিটির আঞ্চলিক অফিস-২ এ ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দিয়েছেন ৭ হাজার ৭২ টাকা। সেইসঙ্গে তাকে এক অফিস সহায়ককেও দিতে হয়েছে ১০ হাজার টাকা।

অতিরিক্ত টাকা দেয়ার বিষয়ে জসিম বলেন, ‘তারা আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে, আমি তাই দিয়েছি। কিন্তু আমি যতটুকু জানি এই লাইসেন্স করতে ৬ হাজার টাকার প্রয়োজন। আমি এখন কী বলবো?’

অতিরিক্ত ফি কেন নেওয়া হয়েছে তার কোন জবাব দিতে পারেননি নিজেকে জসিম উদ্দিন বলে পরিচয় দেয়া ওই অফিস সহায়ক। অনেকক্ষণ পর জানান, অতিরিক্ত ফি আলাদা একটি ট্রেড লাইসেন্সের জন্য নেয়া হয়েছে। অথচ আলাদা কোন ট্রেড লাইসেন্স করতেই দেননি ভুক্তভোগী মো. জসিম।

অফিস সহায়ক আরও বলেন, 'মো. জসিমের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত ২ হাজার ৯২৮ টাকায় পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে নতুন করে ২ হাজার ৭০০ টাকা ফি ধরে কমিশন এজেন্ট নামের একটি ব্যবসার ধরণ যুক্ত করে দেয়া হবে। কিন্তু গ্রাহক মো. জসিমের দরকার পরিবহন ব্যবসার একটি মাত্র ট্রেড লাইসেন্স, দু’টি নয়। এছাড়া পরিবহন ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স নিতে এসে তাকে বারবার ভোগান্তির শিকার হতে হতো না।'

ই-ট্রেড লাইসেন্স সেবায় ট্রেড লাইসেন্স ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ডিএনসিসি’র অঞ্চল-২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এখানেই শেষ নয়, সার্ভার জটিলতার কারণে ট্রেড লাইসেন্স ফি দ্বিগুণের বেশি চলে আসছে। যার সমাধানে গ্রাহকদের একাধিকবার সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসগুলোতে হাজির হতে হচ্ছে। এতে যেমন গ্রাহকের সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমন অর্থের অপচয় হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সার্ভার জটিলতার বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে। আর সিটি করপোরেশনে সেবা নিতে এসে কোন গ্রাহক প্রতারিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিযারি দেন তিনি।