চার দিন পর গেল শুক্রবার থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মহাখালী এলাকায় শুরু হয় বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের কাজ। তবে এখনো আতঙ্ক কাটেনি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের।
ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহখানেক আগে। গেল ২১ অক্টোবর মহাখালীর ওয়্যারলেস এলাকা থেকে ভোরে বর্জ্য সংগ্রহের সময় হঠাৎ করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ওপর হামলা করে একদল দুর্বৃত্ত। এরপর আতঙ্কে চারদিন বর্জ্য সংগ্রহ বন্ধ রাখে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এতে বাসাবাড়ির বর্জ্য নিয়ে বিপাকে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। জমা বর্জ্য পচে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ।
এদিকে, মহাখালী এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ওপর হামলার ঘটনার পর উত্তর সিটির বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এখন উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য সংগ্রহের কাজ স্বাভাবিক হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ঘটনায় এরইমধ্যেই একটি মামলা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবে ডিএনসিসি। পাশাপাশি নতুন করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের দরপত্র আহ্বানের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।’
ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান বলেন, ‘আমরা কিছুদিনের মধ্যেই কাজ গুলোকে ভাগ করে দেব। আমরা একটা নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মধ্যে যাচ্ছি। এর ফলে হয়তো কেউ কাজ করতে চাইছে বা কেউ করতে চাইছে না অর্থাৎ কিছু পক্ষের মধ্যে একটা টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমরা যে কাজগুলো ভাগ করে দেব তাতে এ ধরনের সন্দেহগুলো দূর হয়ে যাবে। আমরা যোগ্য প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করেই কাজ দেব, তখন এ সমস্যা আর হবে না।’
বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের প্রাথমিক কাজে নিয়োজিত আছে প্রায় ৫০ হাজার কর্মী। এসব কর্মীদের দিয়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানগুলো ডিএনসিসি এলাকার বর্জ্য অপসারণের কাজ করছে।