বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলমসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন তাদের শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেছে, যেটি বিশ্বে অত্যন্ত বিখ্যাত। লন্ডন শহরের পরিবহন ব্যবস্থার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে ঢাকা শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। লন্ডন শহরে বিদ্যমান বাস ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেল ও ট্র্যাফিক সিগন্যাল সিস্টেমের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। প্রাথমিকভাবে গুলশানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ফলাফলের ভিত্তিতে পুরো ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট, বাস অপারেশন এবং নিরাপত্তা এ তিন বিষয়ে ডিএনসিসিকে কারিগরি সহায়তা দিবে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল)। শুরুতে গুলশান-১ থেকে গুলশান-২ এ পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটি। ইতোমধ্যে গত জুলাই মাসে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল গুলশান এলাকার বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা, ট্র্যাফিক সিগন্যাল, যানজট নিরসনে কাজ করার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ইউকে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রথম ধাপে পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে সংস্থা দুটি।
প্রশাসক আরো বলেন, ‘পুরো ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ডিএনসিসি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গেও সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। লন্ডনের পরিবহন ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা ও কারিগরি পরামর্শের ভিত্তিতে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনসহ আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিদ্যমান। আমি বিশ্বাস করি ডিএনসিসির সঙ্গে এই কার্যক্রমের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’ -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি