চলতি বছরে প্রায় সবকটি কফি ও কাজুবাদামের চারায় ফলন হয়েছে। গবেষণার অভিজ্ঞতা বলছে পার্বত্য অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি কফি এবং কাজুবাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই দুটি জাত পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।
মিশ্র বাগানেও করা যাবে চাষ। নামমাত্র খরচ ও পরিশ্রমে ভালো ফলনে সফলতা পাওয়ায় খুশি কৃষক ও গবেষণা কর্মকর্তারাও। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ২বছরে ৫ কেজির মত ফলন হয়। যেখানে এক বছরে খরচ হয় মাত্র ২০০ টাকা।
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, 'অ্যারাবিকা ও রোবাস্তা জাতের কফির জাত উদ্ভাবনের দ্বারপ্রান্তে আমরা রয়েছি। এছাড়া কাজুবাদামের দুটি জাত উদ্ভাবনেরও প্রক্রিয়া চলছে।'
এই সফলতা নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে পার্বত্য অঞ্চলের জন্য। এজন্য কৃষকদের প্রস্তুত করতে বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা জানালেন গবেষকরা।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, 'এই দুটি কফির জাত উদ্ভাবনে আমরা দারুণ ফলাফল পেয়েছি। এর ফলন দেখে কৃষকরাও অভিভূত হয়েছে।'
পাহাড়ে পতিত জমিতে দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের কফি ও কাজুবাদামের বাণিজ্যিক চাষাবাদে উৎসাহ বাড়ানো গেলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় এবং জাতীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।