আইভরি কোস্ট ও ঘানার মতো কোকো উৎপাদনকারী দেশগুলোতে বৈরি আবহাওয়া ও ফসলের নানা রোগের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কোকো সরবরাহ ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে। এর ফলে ৪ লাখ ৭৮ হাজার টন কোকো ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা গত ৬০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
যদিও আগামী বছর পশ্চিম আফ্রিকার কোকোর উৎপাদন কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার আশঙ্কা এখনো কাটেনি। এছাড়া দেরিতে ফসল রোপণ ও বেশি বয়স্ক গাছের জন্যেও কোকোর সরবরাহ এবার কমেছে।
এদিকে খরা, দাবানলসহ ব্রাজিল ও ভিয়েতনামের বৈরি আবহাওয়াজনিত কারণে ডিসেম্বরে কফির দাম প্রতি পাউন্ড ৩৪৯ ডলার ৫৮ সেন্টে উন্নীত হয়েছে। এরই সঙ্গে কফির ক্রমবর্ধমান চাহিদা, বিশেষ করে চীনের মতো বাজারের চাহিদা ইতোমধ্যে সরবরাহ চেইনের ওপর আরো চাপ তৈরি করছে। যা দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে।
এছাড়া মধ্য প্রাচ্যেসহ অন্যান্য ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোয় কোকো ও কফির দাম বাড়াতে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।