বাজারে দাম বিবেচনায় কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় আলু-পেঁয়াজের মূল্য। যে কারণে, এই পণ্য দুটি ঘিরে দর কষাকষিতেও ছাড় দিচ্ছেন না ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
নভেম্বরের শুরুতে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ঠেকেছে ৭০-৭৫ টাকায়। সেই হিসেবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। তবে, বেশ কিছুদিন চড়া থাকার পর চলতি সপ্তাহে কমেছে পেঁয়াজের দাম। দশ-পনেরো টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা।
আলুর দাম কমানোয় আমদানিতে জোর দিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচাবাজারে আলুর দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিন্ডিকেট করা সম্ভব না। তবে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কিছুটা কমবে।
আড়তদারদের কাছ থেকে বেশি দামে আলু কেনার অভিযোগ খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাদের। আর আলুর দাম নাগালের বাইরে মন্তব্য করে ক্রেতারা বলছেন, মৌসুম অনুযায়ী কমেনি পেঁয়াজের দামও।
এদিকে, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও সেভাবে কমেনি বেশিরভাগ সবজির দাম। গেলো সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে, পেঁপে, ঢেড়শ, বেগুন, ও পটোল। তবে, শীতের নতুন আলু ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা।
বিক্রেতাদের দাবি অনুযায়ী দাম কমার বিষয়ে একমত নন ক্রেতারা। তারা বলছেন, দু-একটি ছাড়া এখনো বাড়তি বেশির ভাগ সবজির দাম। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ১৯০ টাকায়, সোনালি মুরগী ২৮০ টাকা আর দেশি মুরগী কেজিপ্রতি ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।