বাজারে থরে থরে সাজানো শীতকালীন সবুজ সবজি। কৃষকের শ্রমে-ঘামে উৎপাদিত সতেজ পালং, পুঁই, আর সরিষা শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি আঁটি ১০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, ভরা মৌসুমের কারণে দাম কিছুটা কমেছে।
এদিকে বাজারে রুই-কাতল, ইলিশ, পাঙাশ ও ছোট-বড় মাছ নিয়ে হাঁকডাক, দরকষাকষিতে ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতা। ছুটির দিন হওয়ায় বেচাবিক্রিও ভালো। তবে নদীর মাছের চাহিদা বেশি। রুই ২৫০-৪০০ টাকা, ইলিশ ১২শ'-২ হাজার, পাঙাশ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, চাষের মাছের দাম কিছুটা কম হলেও বাকিসবই নাগালের বাইরে।
ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘সময়ের সাথে সাথে দাম বাড়ছে।’
বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘শীতের সময় ইলিশ মাছ কম নিচ্ছে।’
শীতের পিঠার স্বাদ বাড়াতে এরই মধ্যে বাজারে উঠেছে রাজশাহী ও মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হাজারি গুড়। ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘শীতের সময় গুড়ের পিঠা বানানোর জন্য নেয়া।’
তবে চলতি সপ্তাহে শীতে উত্তাপ ছড়িয়েছে ভোজ্যতেল। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকায়। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০-১৬৫ টাকা। এছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৫২ টাকায়। যে কারণে ক্রেতার কণ্ঠে অস্বস্তির সুর।
ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘বাজেট থাকে না এখন। টেনে টেনে কিনতে হচ্ছে।’
এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরু, খাসি ও মুরগীর মাংসের দর।