পাঁচদিন আগেও যেখানে ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, সেখানে এখন তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকায়। একইভাবে শিম, বেগুন, নতুন আলু, শাক এবং ধনিয়াপাতার দামও কমেছে। তবে মরিচ, টমেটো এবং গাজরের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
ভাটবাউর পাইকারি আড়তে আজ ফুলকপি ১২ টাকা, পাতাকপি ১৬ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২০ টাকা, নতুন আলু ৪৫ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা, শিম ২০ টাকা, ধনিয়াপাতা ১০ টাকা, মূলা ৫টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা, মরিচ ৫০ টাকা, লেবু ২০ টাকা ও শশা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
সবজির দামের এ পতনে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। উৎপাদন খরচ বাড়ার পরও বাজারে কম দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে, ফলে কৃষকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক বশির ইসলাম বলেন, 'বীজ, সার, কীটনাশক এবং শ্রমিকের মজুরির খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এর ওপর কম দামে সবজি বিক্রি করার কারণে পুঁজি উঠে আসছে না। কারণ একটা ফুলকপি উৎপাদন করতে ১৫ টাকা লাগে। আর সেই কপি আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে সাত থেকে আট টাকা পিস।'
একজন কৃষক বলেন, 'আমাদের জমিতে চাষ করতে অনেক খরচ হয়। কিন্তু যখন বাজারে এসে দেখি দাম নেই, এত টাকা খরচ করে সবজি ফলাই কিন্তু দাম একেবারে নাই। শিম আজ বিক্রি করলাম মাত্র ২০ টাকা কেজি। চার থেকে পাঁচ দিন আগে এই শিম বিক্রি করেছিলাম ৩০ টাকা কেজিতে।'
পাইকার লাল মিয়া জানান, 'সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম এমন কমেছে। গত দুই তিনদিন আগে ফুলকপি বিক্রি করেছি ছয় থেকে সাত টাকা কেজি। আজ ১০ থেকে ১২ টাকা গেছে। সবজির দাম একেবারেই কমে গেছে। শুধু গাজর, টমেটো আর মরিচের দাম বাদে সব কিছুই কমেছে। কৃষকরা এই দামে লোকসানে আছে।'
অন্যদিকে সবজির দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন খুচরা বিক্রেতারা। সোলায়মান নামের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, 'এখন সবজি অনেক সস্তা, আমরা যত কমে কিনতে পারি তত কমে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারি। আগে যখন দাম বেশি ছিল তখন বেচাবিক্রি কম হতো। এখন মানুষ অল্প টাকায় ব্যাগ ভরে বাজার করতে পারে।'
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আল মাহমুদ বলেন, 'এখন শীতকালীন সবজির মৌসুম। আড়ত, বাজারগুলোতে সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। যার কারণে দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। এই সুযোগে যেন কোনো অসাধু ব্যবসায়ী কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য আমাদের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।'