দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের বড় ভূমিকা রয়েছে। সবশেষ মার্চ মাসে রেকর্ড তিনশ ২৯ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে। ৫ আগস্ট সরকার পতনেও এই প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ চালক ছিলো। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় চাকরি হারাতে হয়েছে অনেককে। ফিরতে হয়েছে দেশে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ভোটারের ভোটিং পদ্ধতি নির্ধারণে দুই দিনের কর্মশালার আয়োজন করে কমিশন।
আজ গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, এবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের যেকোনো মূল্য ভোটের আওতায় আনা হবে। এতে কয়েকটি পদ্ধতি যাচাই-বাছাই চলছে। সবমিলিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য হলে প্রক্সি ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রবাসীদের জন্য একটা ভোটার নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। অর্থাৎ সেটা ভোটার নিবন্ধন নয়, প্রবাস থেকে ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধন।’
প্রাথমিক অবস্থায় কমিশন ১৭৮টি গণতান্ত্রিক দেশ নিয়ে জরিপ করে। প্রবাসীদের ভোটের সুযোগ থাকা এমন অন্তত ১১৫ দেশ নিয়ে গবেষণা করা হয়।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা দেখেছি পৃথিবীতে প্রায় ২৫টা বা তার বেশি দেশ প্রক্সি ভোট নিচ্ছে। এরা বিভিন্ন উপায়ে প্রক্সি ভোট নিয়ে থাকে।’
এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৮০ জন অংশ নিয়েছিলেন।





