ঈদ আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা। ঈদের আগমুহূর্তের ভিড় ও দুর্ভোগ এড়াতে অনেকেই আগেভাগে যেতে চান বাড়িতে। তবে সেই যাত্রাতেও খুব একটা স্বস্তি নেই। ঈদের ছুটি শুরু না হলেও সড়কে শুরু হয়েছে ভোগান্তি।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে মির্জাপুরের গোড়াই থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়কে সাড়ে ৭০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও ভোগান্তির অভিযোগ করছেন চলাচলকারীরা। সড়কে ৩০০ টাকার ভাড়ার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। তবে চালকরা বলছেন, মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন সংগঠনের নামে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। ফলে বাড়তি ভাড়া নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
টাঙ্গাইল বাস স্ট্যান্ডের একজন যাত্রী বলেন, 'রৌমারির সাধারণ ভাড়া হলো ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। বর্তমানে ভাড়া চাচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।'
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি যানজট কমাতে তৎপরতার কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, 'আমাদের ৭০০ থেকে ৮০০ জন মাঠে থাকবে নিয়মিত। পুরোপুরি ২৪ ঘণ্টার জন্য আমাদের এই সেবা চালু থাকবে। গার্মেন্টস যখন চালু হবে তখন আমাদের প্রেশারটা বেড়ে যাবে। তখন আমরা যমুনা গোল চত্বর থেকে অন্য দিকে ডাইভারশন দিবো।'
এখনও শৃঙ্খলা ফিরছে না ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। বালি বোঝাই ট্রাকের লম্বা সারিই বলে দেয় সড়কে শৃঙ্খলার প্রকৃত চিত্র। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ততই বাড়ছে গাড়ির চাপ। এছাড়া যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামাসহ সড়কের উপর অবৈধ সিএনজি স্টেশনের রাজত্বে তৈরি হচ্ছে যানজট। যাত্রীদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় কমছে না ভোগান্তি।
যাত্রীদের একজন বলেন, 'বালুবাহী ট্রাকগুলো অনেকসময় নিয়ম না মেনে রাস্তার মাঝে এসে দাঁড়ায়। রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, যানজন তৈরি হয়।'
ময়মনসিংহের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) আবু নাছের মোহাম্মদ জহির বলেন, 'মহাসড়কে আমরা ঈদযাত্রায় মানুষরা যেন সুন্দরভাবে বাড়িতে যাতায়াত করতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি।'
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ভোগান্তি ও যানজটমুক্ত রাখতে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। মহাসড়কটির কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার এলাকায় নিয়োজিত থাকবে স্বেচ্ছাসেবী, ছাত্র প্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য ও রোভার স্কাউট সদস্যরা।