বগুড়ায় ঈদ ঘিরে শেষ সময়ে বেড়েছে সাদা সেমাই তৈরির ব্যস্ততা

এখন জনপদে
0

ঈদ ঘিরে বগুড়ার সেমাইপল্লি ও বেকারিগুলোতে শেষ সময়ে বেড়েছে সাদা সেমাই তৈরির ব্যস্ততা। অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে চাহিদার তুঙ্গে এই সেমাই। দিন দিন জেলার বাইরেও বাড়ছে এর কদর। মাত্র ৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ঈদ মৌসুমে কয়েক কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা ব্যবসায়ীদের।

ঈদে অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম উপকরণ সেমাই। ক্রেতা চাহিদা বেশি হওয়ায় বাড়ছে উৎপাদনও।

বগুড়া জেলা সদর, গাবতলী, কাহালুসহ বেশ কিছু উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে জনপ্রিয় সাদা সেমাই। ৫০ বছরের বেশি সময় আগে থেকে শুধু রোজার ঈদ ঘিরে মাস জুড়ে চলে সেমাই তৈরি কর্মযজ্ঞ।

কর্মচারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'ময়দা কিনলে দেখা যায় সেমাই বেচা যায় না। সেমাইয়ের দাম কম। সমস্যা হচ্ছে সেমাই কম দামে বেচে আবার ময়দা কেনা লাগে।'

অন্য একজন বরেন, 'আগে রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, সব জায়গায় যাচ্ছিল। কিন্তু এখন বিভিন্ন জায়গায় মেশিন চলে গেছে, সেজন্য চাহিদা কমে গেছে।'

শুধু ময়দা ও পানির মিশ্রণে সহজ প্রক্রিয়ায় তৈরি সাদা সেমাইয়ের খ্যাতি ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে স্থানীয় বেকারিগুলোতেও শুরু হয় সাদা সেমাই উৎপাদন। রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব জেলাতেই সরবরাহ করা হয় এই সেমাই।

উৎপাদনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'এই সেমাই তৈরি করা খুব সহজ। বর্তমানে অন্য জেলাগুলোতেও স্থানীয়ভাবে এই সেমাই তৈরি করা শুরু করেছে। সেজন্য বগুড়া থেকে কেনার চাহিদা এখন একটু কমে গেছে।'

নিয়ম মেনে কাগজপত্রসহ সহযোগিতা চাইলে বিসিক জেলা কার্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন কর্মকর্তা।

বগুড়া বিসিকের জেলা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক এ কে এম মাহফুজুর রহমান বলেন, 'রোজার ঈদে প্রায় হাজার কোটি টাকার মতো একটা ব্যবসায়িক ট্রানজেকশন কিন্তু ঘটে। তাদের জন্য আমার ম্যাসেজ হলো যে, তাদের যদি কোনো আর্থিক সহযোগিতা, স্বল্প সুদে সরকারি সহযোগিতা নেয়া প্রয়োজন মনে করে তাহলে আমরা বিসিক জেলা কার্যালয় বগুড়ার পক্ষ থেকে নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে তাদের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।'

প্রতি কেজি সাদা সেমাই বিক্রি হয় মাত্র ৫০ টাকায়। তবুও ঈদ মৌসুম ঘিরে কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

এসএস