সোনাদিয়ার প্রায় সাড়ে ৯ হাজার একর জমি বন বিভাগকে হস্তান্তরের উদ্যোগ

পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন
0

সোনাদিয়ার নয় হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং এটাকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। আজ (সোমবার, ১৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়গুলো জানানো হয়।

ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে বরাদ্দকৃত জমি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে এ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল (রোববার, ১৬ মার্চ) বেজার পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন ও মনিটরিং-১) শাহীন আক্তার সুমী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইকো পার্কের জন্য বরাদ্দ করা জমিতে অবৈধভাবে গাছ কাটা, চিংড়িঘের নির্মাণসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলায় দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায়, বরাদ্দ করা জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় নয় হাজার ৪৬৭ একর বনভূমির পরিবেশ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।

এই কার্যক্রমের মধ্যে আছে জবরদখলমুক্তকরণ, খালের মুখ ও শাখা-শাখার বাঁধ অপসারণ করে জোয়ারের পানি প্রবেশ সুগম করা, বালিয়াড়ি পুনরুদ্ধার ও বিচ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ ও নন-ম্যানগ্রোভ, কাউ, কেয়া, নিশিন্দা, নারিকেল, তাল এবং ঘটিভাঙ্গার সাথে সংযোগকারী রাস্তায় বনায়ন কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে এবং অবক্ষয়িত ম্যানগ্রোভ বন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

এছাড়া জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে নয় হাজার ৪৬৭ একর বনভূমিকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হবে। যার ফলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত, অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এসএইচ