এর আগে উপদেষ্টা বন বিভাগ ও পার্কের কর্মকর্তাদের নিয়ে হাতিশালা, জাগুয়ার ও লেমুরসহ বিভিন্ন প্রাণী বেষ্টনী পরিদর্শন করেন। এসময় পার্কের অব্যবস্থাপনা, অপ্রতুল নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানান অসঙ্গতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, একই স্থান থেকে টিয়া, ময়না পাখি হারায় না যখন লেমুর হারিয়ে যাচ্ছে- এর মানে স্পষ্ট, এখানে একটি বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। সেটি চিহ্নিত করতে হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশকে ট্রানজিট ধরেই বিভিন্ন দেশে বন্যপ্রাণী পাচার হয় দাবি করে উপদেষ্টা বলেন, 'যখন ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা হয়, তখন চুরি যাওয়া প্রাণী ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এতে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বাংলাদেশকে বন্যপ্রাণী পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।'
সাফারি পার্ক সংস্কারের জরুরি উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'পার্কের ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত, প্রাণিবান্ধব ও দর্শনার্থীবান্ধব করতে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এজন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।'
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, সেন্ট্রাল সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন এবং সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা।