অবৈধভাবে লিবিয়ায় পাচারের শিকার ১৭৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

.
দেশে এখন
0

অবৈধভাবে লিবিয়া গিয়ে ডিটেনশন সেন্টারে আটক ও পাচারের শিকার ১৭৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ) ভোরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় ঢাকায় ফেরেন তারা। মানবপাচার রোধে দালাল চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে প্রবাসীদের স্বজনরা বলছেন, এখনো আটকে থাকাদের যতদ্রুত সম্ভব উদ্ধার করা প্রয়োজন।

ভোরের আলো ফোটার আগেই বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় জমান লিবিয়ায় আটকে থাকা প্রবাসীদের স্বজনরা। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় ভোরে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরেন ১৭৬ প্রবাসী। ইমিগ্রেশন ও তদন্ত শেষে সকাল ৮টায় বিমানবন্দর থেকে বের হন তারা।

দেশে ফেরত সকলের চোখেমুখে ছিল মানবেতর জীবনযাপনের কষ্ট। এরমধ্যে ১০৬ জন ছিলেন ত্রিপলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে। তারা তুলে ধরলেন ভয়াবহ নির্যাতনের কথা। জানান, আর্থিক ক্ষতির কথাও।

লিবিয়া থেকে ফেরত আসাদের মধ্যে একজন বলেন, 'তিন মাস জেলে ছিলাম। কয়েক জায়গার জেলে রাখা হয়েছিল আমাকে।'

অন্য একজন প্রবাসী বলেন, 'এখনও জেলে মধ্যে হাজারে উপরে মানুষ আছে। উনারা বলতে গেলে অনাহারে আছেন। সরকারের কাছে অনুরোধ তাদের যেন আমাদের মতো দেশে আনার ব্যবস্থা করে।'

ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বেশিরভাগই দালালের মাধ্যমে ইতালি পাড়ি জমানোর জন্য দেশ ছেড়েছিলেন। দালালদের এই সিন্ডিকেটের বিচার চান তারা।

লিবিয়া থেকে ফেরত আসাদের মধ্যে একজনের আত্মীয় বলেন, 'দালালের ক্ষপ্পরে পড়ে গেছে। আমাদের অনেক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় এখন দেশে ফিরে আসছে আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া।'

লিবিয়া থেকে ফেরত আসাদের মধ্যে একজন বলেন, 'আমার ২৫ লাখ টাকা নষ্ট হইছে। কারও ৩০ লাখও নষ্ট হইছে। সরকার যদি এই টাকার কিছু আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে সেটা আমাদের অনেকটাই উপকারে আসবে।'

চলতি মাসেই আরো তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে লিবিয়ার বাংলাদেশি দূতাবাস।

এসএস