তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭৩ বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন

ডিটেনশন সেন্টার থেকে প্রত্যাবাসিত হওয়া ১৭৩ জন
ডিটেনশন সেন্টার থেকে প্রত্যাবাসিত হওয়া ১৭৩ জন | ছবি: এখন টিভি
0

লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় ত্রিপলীর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে মোট ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তারা বুরাক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ইউজেড২২২ এর মাধ্যমে আগামীকাল (সোমবার, ১ ডিসেম্বর) আনুমানিক সকাল ৭টায় ঢাকা পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা সেন্টারে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম তদারকি করেন এবং প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের বিদায় জানান।

এ সময় লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার জন্য লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইওএমের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অভিবাসীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনারা আল্লাহর অশেষ রহমতে ও সৌভাগ্যের কারণে একটি বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ভূমধ্যসাগরের প্রাণঘাতী পথ থেকে বেঁচে ফিরতে পারা নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় জীবনের মতো। ফলে দেশে ফিরে নতুনভাবে জীবন শুরু করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ পথে বিদেশ গমন কখনোই নিরাপদ নয়। এ পথে শুধু জীবন নয়, সম্মান, সময় ও অর্থ—সবকিছুই ঝুঁকির মুখে পড়ে। তাই বৈধ পথ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং নিরাপদ অভিবাসনই একমাত্র গ্রহণযোগ্য উপায়।’

রাষ্ট্রদূত প্রত্যাবাসিতদের দেশে ফিরে মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

দূতাবাস ভবিষ্যতেও অভিবাসীদের পাশে থাকবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে বলে জানান তিনি। রাষ্ট্রদূত প্রত্যেককে দেশে ফিরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সরকারের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সুবিধা গ্রহণ করে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য, পূর্বে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আটক অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং আইওএমের সার্বিক সহায়তায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

এএইচ