'জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করবে ট্রাইব্যুনাল'

দেশে এখন
0

জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসাথে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করার আহ্বান জানান চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। এদিকে, জুলাই আগস্টে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

আজ (বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮৪৮ জন শহীদের তালিকাসহ আন্দোলনের অডিও, ভিডিও, পত্রিকার কপি এবং ৮৪টি মামলার এজাহারের তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। যেখানে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

মামলার অনুসন্ধান, তদন্ত ও বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব স্বাক্ষরিত একটি চিঠি অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করে প্রতিনিধি দল। মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

বিএনপির মামলা ও তথ্য সমন্বয়ক সালাউদ্দিন খান বলেন, ‘অবৈধ সরকার, ভোটারবিহীন সরকার হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, হত্যা করেছিল নির্বিচারে এখানে সেই একটা তালিকা সংগ্রহ করেছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮৪৮ জন শহীদের তালিকাসহ আন্দোলনের অডিও, ভিডিও, পত্রিকার কপি এবং ৮৪টি মামলার এজাহারের তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছি।’

এদিন দুপুরে, জুলাই অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস কমিটির প্রতিবেদন এবং প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শন নিয়ে ব্রিফ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের সাথে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত ও কার্যবিধির সাদৃশ্য রয়েছে।’

জাতিসংঘের সুপারিশ অনুযায়ী, গণহত্যায় জড়িত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করার পরামর্শকে সমর্থন জানান তিনি।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। এই সমস্ত যারা ক্ষমতাশীন বিভিন্ন পদে অধিষ্ট থেকে অপরাধ করেছে তাদের সাসপেন্ড করা হয় সেটার সাথে আমরা একমত।’

এসময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, পৈশাচিক পদ্ধতিতে কত নির্মমভাবে নির্যাতন করা যায় তার দৃষ্টান্ত আয়নাঘর। জড়িতদের বিচারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আইসিসিতে যাবার প্রয়োজন নেই। যেখানে জাতিসংঘ একটা প্রতিবেদন দিচ্ছে তদন্ত করে। তাদের এই স্বীকৃতির পরে আর বড় ধরনের স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই।’

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য আইসিসিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর।

ইএ