শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই সারাদেশে শুরু হয় 'অপারেশন ডেভিল হান্ট'। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার খুনিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজে বের করছে যৌথ বাহিনী। চলছে গ্রেপ্তার।
ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেটসহ দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়। যেখানে সড়কে চলাচল করা মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও ট্রাকসহ সন্দেহভাজন যান তল্লাশি চলে । বিশেষ করে শহরের প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রধান পয়েন্টে দেখা যায় বিশেষ নিরাপত্তা। গাজীপুরে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের ধীরাশ্রমের বাড়িতেও অভিযান চালায় র্যাব।
শুক্রবার রাতে সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরই 'অপরাশেন ডেভিল হান্ট'-এর ঘোষণা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গাজীপুরসহ সারা দেশে গতকাল (শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি) অভিযান শুরু করা হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়ে রোববার কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় তিনি জানান, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে তাদেরকে এই অপারেশন হান্টে টার্গেট করা হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'গাজীপুরে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অনেককেই আমাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যাদের এখনও নেয়া হয়নি তাদেরও খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসা হবে। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে, যারা আইন অমান্য করে, দুষ্কৃতিকারী এবং সন্ত্রাসী যারা, তারাই এটার টার্গেট। ডেভিল যতদিন পর্যন্ত শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে।'
পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আইনের ফাঁক দিয়ে যাতে কোনো অপরাধী বের হয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।