নেত্রকোণায় বন্ধ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স, সুবিধা নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা

.
এখন জনপদে
দেশে এখন
0

চালক সংকটে নেত্রকোণায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা। অস্থায়ী চালক দিয়ে মাঝে মধ্যে সেবা চললেও বেশিরভাগ সময়ই ব্যাহত হয় সেবা কার্যক্রম। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকার সুবিধা নিচ্ছেন অসাধু অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুতই স্থায়ী চালক নিয়োগের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স সেবা সচল হবে।

বাঙালি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর। এখানকার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন অনেকে।

৫০ শয্যার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে প্রতিদিন গড়ে চিকিৎসা ৫শতাধিক রোগী। তবে গত দু'মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা। এতে জরুরি চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক রোগী স্থানান্তরে বিপাকে পড়তে হয় রোগীর স্বজনদের। বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকায় রোগীদের নিতে হয় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা। ফলে এক হাজার ২৩০ টাকার ভাড়া গুণতে হয় পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঘাড়ে পড়ে চিকিৎসার খরচের বাড়তি বোঝা।

স্থানীয় একজন বলেন, 'অনেকের সামর্থ্য নেই তিন থেকে চার হাজার টাকায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দ্রুতগতিতে ময়মনসিংহে যাওয়ার মতো। দরিদ্র মানুষের পক্ষে ইমার্জেন্সিভাবে রোগী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।'

এ অবস্থায় প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারিভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিশ্চিত করার দাবি স্থানীয়দের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক নিয়োগসহ দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

স্থানীয় একজন বলেন, 'এখান থেকে ময়মনসিংহ গেলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স হলে আমাদের জন্য ভালো হয়।'

নেত্রকোণা দুর্গাপুরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, 'কয়েকটা আছে একদমই ব্যবহারের অনুপযোগী। আর দুইটা আছে তার জন্য আমরা বারবারই বিআরটিএকে তাগাদা দিয়েছিলাম। তাদের এস্টিমেশন পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম। কিন্তু এ পর্যন্ত বিআরটিএ থেকে কোনো রেসপন্স আমরা পাইনি। এ বিষয়ে আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে।'

১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স পায় দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এর মধ্যে দু'টি আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে। আর বাকি তিনটির মধ্যে দু'টি পুরোপুরি বিকল হয়ে পড়ে আছে গ্যারেজে। বিকল দুটি অ্যাম্বুলেন্স বিক্রির কথা থাকলেও বিআরটিএ থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় কয়েক বছর ধরে ঝুলে আছে নিলাম প্রক্রিয়া।

এসএস