দেশে এখন
0

পর্যায়ক্রমে সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার

চব্বিশ ঘণ্টা আল্টিমেটামের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি পূরণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশসহ জুনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে জুলাই থেকে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানান তারা। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ যুগ্ম সচিব এস.এম মাসুদুল রহমান জানান, পর্যায়ক্রমে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে জাতীয়করণ করা হবে। তবে আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো মিড ডে মিল, উপবৃত্তি ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বলেও জানান সচিব।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ১৯৮৪ সালে মাদ্রাসা বোর্ডের স্বীকৃতির পর এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার শিক্ষক ৫০০ টাকা বেতন-ভাতা বেড়ে প্রধান শিক্ষক তিন হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষক তিন হাজার ৩০০ টাকা বেতন পান। সমপর্যায়ের বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি টাকাও বেতন পান না, মূলত এই নিয়ে ছিল তিনদিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি, সারাদেশে ১২ হাজারের বেশি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। এতে কর্মরত ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষক। গত ৪০ বছরের বেশি সময়ে বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এরইমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। ছয় দফা দাবির এক দফা জাতীয়করণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেয়া হয়েছিল। আজ (মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডাকে সচিবালয়ে ১৫ সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধিদল আলোচনায় বসেন। ফলপ্রসূ আলোচনায় পর্যায়ক্রমে সকল ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব।

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ যুগ্ম সচিব এস.এম মাসুদুল রহমান বলেন, 'আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ছয় দফা দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয় মেনে নিয়েছে। ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় আলাদা শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি চালু করা হবে।'

এসময় শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠি চার্জের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।

জাতীয়করণের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো মিড ডে মিল, উপবৃত্তি ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বলেও জানান‌ সচিব। এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশসহ জুনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে জুলাই এর ১ তারিখ থেকেই কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

অবস্থানরত শিক্ষকদের দাবি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে ৩টি বেশি বিষয় পড়িয়ে থাকেন ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের। কিছু শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি সুযোগ পেলেও ২০২২ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় সেই উপবৃত্তিও। অবশেষে দাবি পূরণের আশ্বাসে স্বস্তির নিশ্বাস নিয়ে মাদ্রাসায় ফিরছেন বলে জানান ইবতেদায়ী শিক্ষকরা।

এএম