ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার তথ্য দেয়া হয়। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আসে বার্তা। মুহূর্তেই সতর্কতা জারি করে দেয়া হয় বিমানবন্দরে। খবর শুনে ওই ফ্লাইটে থাকা যাত্রীর স্বজনরা ছুটে আসেন বিমানবন্দরে।
সকাল সাড়ে ৯টায় অবতরণ করা ফ্লাইটটিকে ঘিরে ফেলে বিমানবাহিনীর বিশেষ ইউনিট, আসে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ফায়ার সার্ভিসও।
প্রথমেই যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। তারপর শুরু হয় বিমানে তল্লাশি। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্লেনের ভেতরে সিট, করিডোর, টয়লেট, ক্যাফেতে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে কিছু না পাওয়া গেলে তল্লাশি করা হয় যাত্রীদের লাগেজেও। সাড়ে ৬ ঘণ্টা তল্লাশির পর কিছু না পেয়ে নিরাপদ ঘোষণা করা হয় ফ্লাইটটিকে।
এরপর নিরাপত্তা বেষ্টনী থেকে ছাড়া হয় যাত্রীদেরও। বেরিয়ে যাত্রীরা জানান, সবাই যেন আতঙ্কিত না হয় সেজন্য অবতারণের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের জানানো হয়নি বোমা হামলার ঘটনাটি। পরে জানার পরে তাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গণমাধ্যমে ব্রিফ করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি জানান, তথ্য অনুযায়ী দু'টি ব্যাগেজ সন্দেহভাজন ছিল। কিন্তু সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। তথ্যদাতার ফোন নম্বরটি ছিল পাকিস্তানি।
এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, 'ফ্লাইটে দুইটা ব্যাগেজ সন্দেহভাজন ছিল। কিন্তু সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ আসে প্রথম, নম্বরটি ছিল পাকিস্তানি। সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তার সাথে পরে আমরা মেসেজেই কথা বলেছি। কল দিয়েছিলাম কল ধরেননি।'
এসময় অন্য অন্য রুটের ফ্লাইটগুলোর চলাচল স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, 'এটা কোনো হুমকি নয়। মেসেজকারী তথ্য দিয়েছিল। অন্য রুটের ফ্লাইটগুলোর চলাচল স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।'
বিমানে বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল।